ফরিদপুর: ফরিদপুরের সালথায় কামরুল ইসলাম নামে জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতাকে ‘বাড়ি থেকে তুলে নেওয়ার হুমকি’র অভিযোগ পাওয়া গেছে। উপজেলাটির রামকান্তপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান ও সাবেক উপজেলা কৃষক লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মো. ইশারত হোসেনের বিরুদ্ধে এ অভিযোগ উঠেছে।
হুমকির বিষয়টি সোমবার (১৬ সেপ্টেম্বর) বিকেলে সাংবাদিকদের নিশ্চিত করেছেন উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক কামরুল ইসলাম।
কামরুল ইসলাম অভিযোগ করে বাংলানিউজকে বলেন, সম্প্রতি সালথা বাজারে একটি লিজ নেওয়া দোকানকে কেন্দ্র করে রামকান্তপুর ইউপি চেয়ারম্যান ও সাবেক উপজেলা কৃষক লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ইশারত হোসেনের ভাই জাহাঙ্গীর হোসেনের সঙ্গে আমার কথা কাটাকাটি হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে রোববার (১৫ সেপ্টেম্বর) দুপুরে আমাকে আমার মোবাইল ফোনে কল করে অশ্লীল ভাষায় গালাগাল করেন ইশারত হোসেন। এমনকি আমাকে বাড়ি থেকে তুলে নেওয়ার হুমকিসহ আমার পরিবারকে দেখে নেওয়ারও কথা বলেন তিনি।
তিনি আরও বলেন, রামকান্তপুর ইউপি চেয়ারম্যান ইশারত হোসেন হলেন গত ৫ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে পতন হওয়া স্বৈরাচার সরকারের দোসর। ইশারতের এমন হুমকি-ধামকির শিকার হয়েছেন অনেকে। স্বৈরাচার সরকারের পতন ঘটলেও এখনও তাদের দোসররা আগের মতোই স্বার্থ হাছিলে হুমকি-ধামকিসহ নানা অপকর্ম করার সাহস কীভাবে দেখাতে পারছেন সেটাই দেখার বিষয়। স্বৈরাচারীদের দোসরদের মূল উৎখাত করতে না পারলে নতুন স্বাধীন দেশটাকে সোনার বাংলা গড়ে তোলাটা বাধাগ্রস্ত হবে।
এদিকে অভিযোগের ব্যাপারে জানতে চাইলে রামকান্ত ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান ইশারত হোসেন বলেন, আমার ছোট ভাই জাহাঙ্গীরের সঙ্গে স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা কামরুল ইসলামের কোনো এক বিষয়ে কথা-কাটাকাটি হয়। পরে বিষয়টি জানার জন্য আমি তাকে (কামরুল) তার ফোনে কল করি। তিনি কল ধরার পর তার সঙ্গে আমার কথা কাটাকাটি হয়। তবে বাড়ি থেকে উঠিয়ে আনার মতো কথা আমি বলিনি। অভিযোগটি সঠিক নয়।
এ ব্যাপারে সালথা থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) সুজন বিশ্বাস জানান, এখনও কোনো লিখিত অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৫৮ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৬, ২০২৪
আরবি