ঢাকা, মঙ্গলবার, ৯ বৈশাখ ১৪৩২, ২২ এপ্রিল ২০২৫, ২৩ শাওয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

আ.লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে এনসিপির বিক্ষোভ

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১০২ ঘণ্টা, এপ্রিল ২২, ২০২৫
আ.লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে এনসিপির বিক্ষোভ আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধের দাবিতে এনসিপির বিক্ষোভ মিছিল | ছবি: জিএম মুজিবুর

ঢাকা: আওয়ামী লীগকে দক্ষিণ এশিয়ার অন্যতম সন্ত্রাসী সংগঠন উল্লেখ করে দলটিকে নিষিদ্ধ করার দাবি জানিয়ে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) তেজগাঁও অঞ্চলের নেতাকর্মীরা।

মঙ্গলবার (২২ এপ্রিল) বিকেলে রাজধানীর খামারবাড়িতে আওয়ামী লীগের বিচার, রাজনৈতিক কার্যক্রম নিষিদ্ধ, সংস্কার ও গণপরিষদ নির্বাচনের দাবিতে এই কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়।

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) বৃহত্তর তেজগাঁও জোন আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তব্য দেন তেজগাঁও জোনের প্রতিনিধি শাহাদাত খন্দকার, জাতীয় নাগরিক পার্টির কেন্দ্রীয় সংগঠক সোয়েব, কেন্দ্রীয় সংগঠক ইমরান ইমন, মুখ্য যুগ্ম সংগঠক সাকিব মাহাদী, আবু সাইদ লিয়ন, মুশফিক সোহান, কেন্দ্রীয় সসদ্য ডেভিড রাজু, যুগ্ম মুখ্য সমন্বয়ক জয়নাল আবেদীন শিশির, যুগ্ম সদস্যসচিব মুশফিক, সালেহ উদ্দিন সিফাত, যুগ্ম সদস্যসচিব রিফাত রশিদ, আকরাম হোসেন, যুগ্ম আহ্বায়ক আলাউদ্দিন, সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক আরিফুল ইসলাম আদিব, কেন্দ্রীয় সংগঠক মুমতাসিম মাহমুদ প্রমুখ।

বিক্ষোভ সমাবেশ থেকে বক্তারা বলেন, আমাদের একটাই দাবি, আওয়ামী লীগ সন্ত্রাসী সংগঠন, যারা ১৬ বছর এই তেজগাঁওয়ের মাটিতে কাউকে শান্তিতে থাকতে দেয় নাই, সেই সন্ত্রাসীদের আর বাংলার মাটিতে রাজনীতি করতে দেওয়া হবে না। এই বাংলার মাটিতে তারা যদি আবার রাজনৈতিক আশ্রয় পায়, তাহলে তারা তাদের হত্যা ঘুম খুনের রাজনীতি আবার চালু করবে। তাদের নোংরা রাজনীতি আর বাংলার মাটিতে করতে দেওয়া হবে না। অবিলম্বে তাদের রাজনীতি নিষিদ্ধ করতে হবে।

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টাদের উদ্দেশ্যে বক্তারা বলেন, আপনারা রক্ত দেন নাই, রক্ত আমাদের শহীদ ভাইয়েরা দিয়েছে। পঙ্গু হাসপাতালে আমাদের আহত ভাইদের এখনো সুচিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে না। তেজগাঁয়ের বিভিন্ন স্থাপনা আমরা শহীদের নামে নামকরণ করব। জুলাই বিপ্লবে যারা শহীদ হয়েছেন তারাই আমাদের বিপ্লবের সবচেয়ে বড় স্টেকহোল্ডার।

সমাবেশ থেকে বলা হয়, একটা পালিয়ে যাওয়া সরকার পৃথিবীর ইতিহাসে কোথাও আবার ফেরত এসেছে কি না, সেটা আমাদের জানা নেই। কিন্তু বাংলাদেশে যারা মূর্খ এবং দলকানার রাজনীতি করে, যারা সন্ত্রাস-দালালি-চাঁদাবাজির রাজনীতি করে, তারা মনে করছে শেখ হাসিনা আবার ফেরত আসবে। এই বাংলার মাটিতে শেখ হাসিনাকে আর ফেরত আসতে দেওয়া হবে না। আমরা যারা ’২৪ এর বিপ্লবী রয়েছি, তারা প্রয়োজনে আবার জীবন দেব, আরেকটা প্রজন্ম শহীদ হয়ে যাবে। কিন্তু আওয়ামী লীগকে এই দেশে আর রাজনীতি করার সুযোগ দেওয়া হবে না।

বক্তারা আরও বলেন, আওয়ামী লীগ আবার সুসংগঠিত হয়ে গুপ্ত হামলা করার চেষ্টা করছে। আওয়ামী লীগ হচ্ছে দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে অন্যতম একটি সন্ত্রাসী সংগঠন। আমরা জানি, বাংলাদেশ ছিল ভারতের একটি অঘোষিত অঙ্গরাজ্য। এই অঘোষিত অঙ্গরাজ্যের যিনি পুতুল ছিলেন, তাকে ভারত থেকে পৃষ্ঠপোষকতা করা হতো। আমরা জেনেছি ইদানিং ভারত থেকে বিভিন্ন পরামর্শ দিয়ে, আওয়ামী লীগকে আবার মাঠে নামানো শুরু করেছে। আওয়ামী লীগকে আমরা মাঠে নামতে দেব না ইনশাআল্লাহ। আমরা আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার জন্য অতি দ্রুত দুর্বার আন্দোলন গড়ে তুলব।

সমাবেশ শেষে একটি বিক্ষোভ মিছিল খামারবাড়ি হয়ে ফার্মগেট ওভার ব্রিজের নিচে এসে শেষ হয়।

বাংলাদেশ সময়: ২০৫৬ ঘণ্টা, এপ্রিল ২২, ২০২৫
আরকেআর/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।