ঢাকা, রবিবার, ৪ শ্রাবণ ১৪৩২, ২০ জুলাই ২০২৫, ২৪ মহররম ১৪৪৭

রাজনীতি

আ. লীগ-বিএনপি হিন্দুদের সঙ্গে প্রতারণা করেছে: হিন্দু মহাজোটের মহাসচিব

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬:২০, জুলাই ১৯, ২০২৫
আ. লীগ-বিএনপি হিন্দুদের সঙ্গে প্রতারণা করেছে: হিন্দু মহাজোটের মহাসচিব সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জামায়াতের সমাবেশে বক্তব্য দেন বাংলাদেশ জাতীয় হিন্দু মহাজোটের মহাসচিব ডক্টর গোবিন্দচন্দ্র প্রামাণিক।

আওয়ামী লীগ ও বিএনপির বিরুদ্ধে হিন্দু সম্প্রদায়কে বঞ্চনা ও প্রতারণার অভিযোগ করেছেন বাংলাদেশ জাতীয় হিন্দু মহাজোটের মহাসচিব ডক্টর গোবিন্দচন্দ্র প্রামাণিক। তিনি বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীকে একটি আদর্শিক প্ল্যাটফর্ম হিসেবে উল্লেখ করে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের জন্য পৃথক নির্বাচন ব্যবস্থা ও পিআর পদ্ধতির নির্বাচনের দাবি জানান।

শনিবার (১৯ জুলাই) সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর জাতীয় সমাবেশে বক্তব্য দেওয়ার সময় এসব কথা বলেন তিনি।  

ডক্টর প্রামাণিক তার বক্তব্যে আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠার সময় থেকেই হিন্দু সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিত্ব অস্বীকার করার অভিযোগ তোলেন। তিনি বলেন, আমরা দীর্ঘদিন ধরে আওয়ামী লীগের কাছে রাজনৈতিক বন্দী হিসেবে ছিলাম। ১৯৫৪ সালে যেদিন আওয়ামী লীগ গঠন হয় সেদিনই তারা হিন্দু সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিত্ব অস্বীকার করে। প্রতিনিধিত্বকে ধ্বংস করার জন্য উদ্দেশ্য নিয়েই আওয়ামী লীগ গঠন হয়েছে, হিন্দু সম্প্রদায়ের প্রতি তারা প্রতারণা করেছে।

একইভাবে তিনি বিএনপির বিরুদ্ধেও হিন্দু সম্প্রদায়কে অবহেলা ও ক্ষতির অভিযোগ করেন বলেন, ২০০১ সালে বিএনপি ক্ষমতায় আসার পর ফেনীর একটি উপজেলায় ২০০ জন হিন্দু নারীকে ধর্ষণের ঘটনা ঘটে। এবং সম্প্রতি পার্বত্য চট্টগ্রামে একজন আদিবাসী কিশোরীকে চারজন বিএনপি কর্মীর দ্বারা ধর্ষণের ঘটনা ঘটে। এদের কোনো বিচার হয়নি।  

তিনি দেশের বর্তমান পরিস্থিতি যেমন: চাঁদাবাজি, সন্ত্রাস, ও টেন্ডারবাজির ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেন।

ডক্টর প্রামাণিক জামায়াতে ইসলামীকে শুধুমাত্র একটি রাজনৈতিক দল হিসেবে নয়, বরং একটি ‘ইউনিভার্সাল ইউনিভার্সিটি’ আখ্যা দেন। তিনি আরও বলেন, আপনারা এখানে আসেন শিক্ষা লাভ করেন। নীতি শিক্ষা দেন, আদর্শ শিক্ষা নেন এবং কীভাবে ধর্ম অনুযায়ী নিজের জীবন পরিচালনা ও দেশ পরিচালনা করা যায় আপনারা সেই শিক্ষা লাভ করেন।  

তিনি সমাবেশে উপস্থিত জনতাকে আশ্বস্ত করেন, জামায়াতে ইসলামীর সঙ্গে অংশগ্রহণের কারণে তাদের জীবন ধন্য হবে, এমনকি যদি রাজনৈতিক ক্ষমতা নাও থাকে।

ভবিষ্যৎ নির্বাচনের বিষয়ে ডক্টর প্রামাণিক ফ্যাসিবাদ প্রতিরোধের ওপর জোর দিয়ে বলেন, আমরা আগামী দিনে আমরা বলতে চাই, একবার ফ্যাসিবাদ বিদায় হয়েছে আবার কোনোদিন আমরা এই ফ্যাসিবাদ চাই না। সমাবেশে আগত জুলাই আন্দোলনের শহীদ পরিবারের সদস্যদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, যদি আবারও এই দেশে পিআর সিস্টেম ছাড়া নির্বাচন হয় আবার ফ্যাসিবাদ আসবে, আবার আপনাদের এই ফ্যাসিবাদ সরানোর জন্য জীবন দিতে হবে, রক্ত দিতে হবে।

বাংলাদেশ জাতীয় হিন্দু মহাজোটের মহাসচিব সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের জন্য এক দফা পৃথক নির্বাচন এবং পিআর পদ্ধতি ছাড়া কোনো নির্বাচন না করার দাবি জানান। তিনি আরও বলেন, যদি জামায়াতে ইসলামী মনে করে, তাহলে বাংলাদেশে কোনো নির্বাচন হতে দেওয়া হবে না।

ইএসএস/এমজে

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।