ঢাকা, শনিবার, ২৬ আশ্বিন ১৪৩২, ১১ অক্টোবর ২০২৫, ১৮ রবিউস সানি ১৪৪৭

রাজনীতি

দেশের উন্নয়নের চাবিকাঠি হলো জ্বালানি সরবরাহ: মঈন খান

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬:১৬, অক্টোবর ১১, ২০২৫
দেশের উন্নয়নের চাবিকাঠি হলো জ্বালানি সরবরাহ: মঈন খান ড. আব্দুল মঈন খান।

দেশের উন্নয়নের চাবিকাঠি হলো জ্বালানি সরবরাহ বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান।

শনিবার (১১ অক্টোবর) দুপুরে রাজধানীর প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলের গ্র্যান্ড বলরুমে দৈনিক বণিক বার্তা আয়োজিত ‘বাংলাদেশে এলপিজি: অর্থনীতি, পরিবেশ ও নিরাপত্তা’ শীর্ষক পলিসি কনক্লেভে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

 

মঈন খান বলেন, দেশের উন্নয়নের চাবিকাঠি হলো জ্বালানি সরবরাহ। যদি আমরা জ্বালানি সরবরাহ করতে না পারি, আমাদের উন্নয়ন পরিকল্পনা কতই বা কার্যকর হবে? জ্বালানি শুধু অর্থনীতির বিষয় নয়, এটি সামাজিক প্রসঙ্গও। দেশের সমাজের ক্রমবর্ধমান চাহিদা মেটাতে শহর থেকে গ্রাম পর্যাপ্ত জ্বালানি নিশ্চিত করা গুরুত্বপূর্ণ।

তিনি বলেন, বাংলাদেশের ১৮ কোটি মানুষের জন্য পর্যাপ্ত জ্বালানি সরবরাহ এখনো সম্ভব হয়নি। বিশেষত, দেশের প্রাইমারি এনার্জির ৬৫ শতাংশই আমদানি নির্ভর। ফলে বিদেশি মুদ্রার ওপর চাপ পড়ছে। দেশে এলপিজি সরবরাহ বাড়ানো যেতে পারে এবং এটি সাধারণ মানুষের কাছে সহজলভ্য করা গুরুত্বপূর্ণ।

মঈন খান বলেন, বাংলাদেশের কয়লা সম্পদ অত্যন্ত উচ্চমানের, যার সালফার কন্টেন্ট বিশ্বের সর্বনিম্ন। যদিও পরিবেশবাদীরা কয়লা ব্যবহার নিয়ে সমালোচনা করতে পারেন, নতুন উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহার করে পরিবেশ দূষণকে যথাসম্ভব কমিয়ে দেশের এনার্জি চাহিদা মেটানো সম্ভব। দেশীয় গ্যাসের মজুত ধীরে ধীরে কমছে এবং বিশ্বের নানা দেশের অভিজ্ঞতা অনুযায়ী এটি দ্রুত নিঃশেষ হয়ে যাবে। তাই বিদ্যুৎ, গ্যাস ও অন্যান্য জ্বালানির বিকল্প উৎস খুঁজে বের করা এখনই প্রয়োজন। প্রাকৃতিক গ্যাসের সীমিত মজুতের কারণে এলএনজি বা এলপিজির দিকে আরও মনোযোগ দিতে হবে।

তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের বাজারে এলপিজির অংশ বর্তমানে মাত্র ২ শতাংশ হলেও সঠিক পরিকল্পনা ও বিনিয়োগের মাধ্যমে এটি বাড়িয়ে দেশের এনার্জি নিরাপত্তা নিশ্চিত করা সম্ভব। আগামীতে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক ইনফ্রাস্ট্রাকচার উন্নয়নে জ্বালানি চাহিদা বাড়বে। আমরা জনগণের কাছে সহজ প্রযুক্তি ব্যবহার করে এলপিজি পৌঁছে দিতে পারলে এটি দেশের উন্নয়নের জন্য একটি বড় সাপোর্ট হবে।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান। সম্মানিত অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের (বিইআরসি) চেয়ারম্যান জালাল আহমেদ। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ইনডিপেনডেন্ট ইউনিভার্সিটি, বাংলাদেশের উপাচার্য অধ্যাপক ড. ম. তামিম। অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন কনজুমার অ্যাসোসিয়েশনের জ্বালানি উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. শামসুল আলম প্রমুখ।

আরকেআর/আরবি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

রাজনীতি এর সর্বশেষ