ঢাকা: ‘জুলাই জাতীয় সনদ ২০২৫’ স্বাক্ষর অনুষ্ঠানের আমন্ত্রণ পেয়ে বিএনপির চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া ‘অত্যন্ত আনন্দিত ও উচ্ছ্বসিত’ হয়েছেন বলে জানিয়েছেন জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সদস্য বদিউল আলম মজুমদার এবং প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দার।
বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) রাতে তারা রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন খালেদা জিয়ার হাতে শুক্রবার (১৭ অক্টোবর) অনুষ্ঠিতব্য জুলাই সনদ স্বাক্ষর অনুষ্ঠানের আমন্ত্রণপত্র পৌঁছে দেন।
এ ছাড়া বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের জন্যও আলাদা একটি আমন্ত্রণপত্র পাঠানো হয়েছে, যা চেয়ারপারসনের একান্ত সচিব এ বি এম আব্দুস সাত্তারের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
পরে বদিউল আলম মজুমদার সাংবাদিকদের বলেন, জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সভাপতি অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের পক্ষ থেকে আমরা এসেছি আগামীকাল শুক্রবার যে ‘জুলাই জাতীয় সনদ ২০২৫’ স্বাক্ষরিত হবে, সেই অনুষ্ঠানের দাওয়াত পৌঁছে দিতে। আমরা প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূসের সালাম পৌঁছে দিয়েছি এবং তার দ্রুত আরোগ্য কামনা করেছি। তিনি (খালেদা জিয়া) অধ্যাপক ড. ইউনূসের প্রতিও শুভেচ্ছা জানিয়েছেন এবং অনুষ্ঠানের সফলতা কামনা করেছেন।
এক প্রশ্নের জবাবে বদিউল আলম মজুমদার বলেন, আমরা যতটুকু দেখেছি এবং শুনেছি, তিনি অত্যন্ত আনন্দিত হয়েছেন এবং উদ্যোগটিকে আন্তরিকভাবে স্বাগত জানিয়েছেন। তিনি মনে করেন, এটি বাংলাদেশের জন্য একটি নতুন মাইলফলক, যা দেশের সুন্দর ভবিষ্যৎ নির্মাণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দার বলেন, এই ঐতিহাসিক মুহূর্তে বেগম খালেদা জিয়া বলেছেন, আমার শরীর ভালো থাকলে আমি অবশ্যই অনুষ্ঠানে সশরীরে উপস্থিত হতাম। কারণ, এমন একটি মাহেন্দ্রক্ষণে অংশ নেওয়া সত্যিই সৌভাগ্যের ব্যাপার। তবে যেহেতু তিনি হাসপাতালে রয়েছেন, তার পক্ষে যাওয়া সম্ভব নাও হতে পারে। তিনি অনুষ্ঠানের সর্বাঙ্গীণ সাফল্য কামনা করেছেন এবং ব্যক্তিগতভাবে অধ্যাপক ইউনূসের প্রতি তাঁর সমর্থন ও দোয়া পুনর্ব্যক্ত করেছেন।
মনির হায়দার আরও জানান, খালেদা জিয়া বলেছেন, এই সংস্কার প্রচেষ্টার সঙ্গে তিনি এবং তার দল সর্বাত্মকভাবে যুক্ত রয়েছেন।
এসবিডব্লিউ/এসআরএস