বিএনপি ক্ষমতায় এলে শিক্ষকদের জাতীয়করণের আওতায় নিয়ে আসবে বলে জানিয়েছেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি।
সোমবার (২০ অক্টোবর) দুপুরে দলের পক্ষ থেকে শিক্ষকদের আন্দোলনে একাত্মতা জানাতে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে এসে তিনি এ দাবি জানান।
এ সময় তিনি শিক্ষকদের দাবির প্রতি বিএনপির পক্ষ থেকে একাত্মতা জানান।
এ্যানি বলেন, (বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান) তারেক রহমান নীতিগতভাবে আপনাদের দাবির প্রতি একাত্মতা প্রকাশ করেছেন। আমরা যে একাত্মতা প্রকাশ করেছি, তার মধ্যে শিক্ষকদের ন্যায্য দাবি, চাকরির সুবিধা এবং রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তার বিষয়ে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিয়েছি। আপনাদের যে সামাজিক মর্যাদা রয়েছে, এ মর্যাদাকে আমরা যথেষ্ট অনুভব করেছি এবং গুরুত্ব দিয়েছি। এছাড়া রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতির বিষয়ে দলের পক্ষ থেকে মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর আপনাদের অবহিত করেছেন।
শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি বলেন, রাষ্ট্র এবং রাজনীতিক সংস্কার করলেই সব সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে না। সব নাগরিক সুবিধা দিলেই সব সমস্যার সমাধান হবে না। শিক্ষাকে আধুনিকীকরণ করতে হবে। শিক্ষকদের মর্যাদা নিশ্চিত করতে হবে। আপনাদের আন্দোলনের আগেই বিবিসিতে এক সাক্ষাৎকারে তারেক রহমান জানিয়েছেন, নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের অবস্থানে (আস্থায়) আসার সুযোগ পেলে বিএনপি থেকে শিক্ষকদের জাতীয়করণের সিদ্ধান্ত হয়েছে।
বিএনপির যুগ্ম-মহাসচিব বলেন, এটি খুব হালকাভাবে দেখার কোনো সুযোগ নেই। এটি একটি দায়িত্বশীল দলের পক্ষ থেকে প্রতিশ্রুতি। এ সিদ্ধান্তটি নির্বাচনের আগে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের পক্ষ থেকে আবারও আপনাদের সামনে পুনরায় উল্লেখ করলাম।
তিনি বলেন, আপনারা গত ৮-৯ দিন থেকে যেভাবে প্রখর রোদ্রে রাজপথে আন্দোলন সংগ্রাম করে যাচ্ছেন, এটা তো করার কথা ছিল না। আগামী দিনে যেন এ আন্দোলন আর না করতে হয়, সেজন্য পূর্ণ জাতীয়করণের কথাটা আমরা আপনাদের সামনে তুলে ধরলাম।
শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি বলেন, কারণ মর্যাদার জায়গায় আপনাদের আসীন করতে হবে। আপনারা জাতিকে আলোর পথে নিয়ে যাচ্ছেন। শিক্ষাকে আধুনিকীকরণের জন্য আপনারা কাজ করছেন। আপনারা আমাদের শিক্ষাগুরু। আপনাদের সঙ্গে আমরা একাত্মতা প্রকাশ করলাম।
তিনি আরও বলেন, এরই মধ্যে অন্তর্বর্তী সরকার আপনাদের যুক্তি সঙ্গত দাবির সঙ্গে একমত পোষণ করেছে। কিন্তু কাঙ্ক্ষিত দাবি ২০ শতাংশ হয়তো আপনারা পাননি। সরকারকে বলব, ৫ শতাংশ পর্যাপ্ত নয়। বিশেষ বিবেচনা আপনাদের (শিক্ষকদের দাবি পূরণ) করতে হবে।
সোমবার (২০ অক্টোবর) সকাল থেকে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে এমপিওভুক্ত শিক্ষকরা জড়ো হয়েছেন। অন্যান্য দিনের তুলনায় আজ শিক্ষকদের উপস্থিতি বেশি দেখা গেছে। তারা ২০ শতাংশ ভাড়ি ভাড়া, ১৫০০ টাকা চিকিৎসা ভাতা এবং কর্মচারীদের জন্য ৭৫ শতাংশ উৎসব ভাতার দাবি জানাচ্ছেন।
এফএইচ/জেএইচ