ঢাকা: একুশে টেলিভিশনের চেয়ারম্যান আবদুস সালাম ও দৈনিক আমার দেশ সম্পাদক মাহমুদুর রহমানের নিঃশর্ত মুক্তি এবং ইটিভি, আমার দেশ, দিগন্ত টিভি, ইসলামিক টিভি ও চ্যানেল ওয়ান সম্প্রচার চালুর দাবি জানিয়েছে লেবার পার্টি।
শুক্রবার (৯ জানুয়ারি) দুপুরে রাজধানীর পুরানা পল্টনের একুশে মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলন করে এ দাবি জানায় দলটি।
সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন লেবার পার্টির চেয়ারম্যান ডা. মোস্তাফিজুর রহমান ইরান। এসময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন দলটির মহাসচিব হামদুল্লাহ আল মেহেদী, ভাইস চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার ফরিদ উদ্দিন, সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট ফারুক রহমান, শিক্ষক নেতা শেখ মিজানুর রহমান, যুগ্ম-মহাসচিব হিন্দুরত্ন রামকৃষ্ণ সাহা, মাহমুদ খান, যুবফোরাম আহ্বায়ক হুমায়ুন কবীর, ছাত্রফোরাম আহ্বায়ক কামরুল ইসলাম সুরুজ, সদস্য সচিব মো. জাবের হোসেন প্রমুখ।
ডা. ইরান বলেন, শেখ হাসিনা গণতন্ত্র ও সংবাদপত্রের স্বাধীনতার কথা মুখে বললেও বাস্তবে বিশ্বাস করেন না। আওয়ামী লীগ যখনই ক্ষমতায় এসেছে তখনই সংবাদপত্র ও সাংবাদিকদের উপর জুলুম নির্যাতন ও নিপীড়নের শিকার হয়েছে। শেখ হাসিনার প্রতিহিংসার শিকার ইটিভি চেয়ারম্যান আবদুস সালাম ও আমার দেশ সম্পাদক মাহমুদুর রহমান।
ডা. ইরান দাবি করেন, বতর্মান ‘অবৈধ’ সরকার ক্ষমতা চিরস্থায়ী করতে সাহসী সাংবাদিক ও গণমাধ্যমের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে। গণতন্ত্রের মুখোশধারী বাকশালী অপশক্তি গণতন্ত্রের লেবাসে দেশে ডিজিটাল দুঃশাসন কায়েম করেছে। শেখ মুজিব ১৯৭৫ সালে ১৬ জুন সংবাদপত্রের স্বাধীনতা গলাটিপে হত্যা করেছে। আজ শেখ হাসিনা কালো আইনের মাধ্যমে গণমাধ্যম নিয়ন্ত্রণের ব্যবস্থা করেছেন। বিগত দিনে কোনো স্বৈরশাসক জোরজবরদস্তি করে ক্ষমতায় টিকে থাকতে পারেনি। শেখ হাসিনার একগুয়ের পরিণতি হবে আইয়ুব-ইয়াহিয়া ও পতিত স্বৈরাচার এরশাদের চেয়েও ভয়াবহ।
লেবার পার্টির চেয়ারম্যান অবিলম্বে ইটিভি চেয়ারম্যান আবদুস সালাম ও আমার দেশ সম্পাদক মাহমুদুর রহমানের নিঃশর্ত মুক্তি দাবি করেন। একইসঙ্গে বন্ধ দৈনিক আমার দেশ, ইটিভি, দিগন্ত টিভি, ইসলামিক টিভি, চ্যানেল ওয়ানের হাজারো সংবাদকর্মী ও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মানবেতর জীবন যাপনের কথা স্মরণ করে এসব গণমাধ্যম ফের সম্প্রচার চালুর দাবি জানান।
বাংলাদেশ সময়: ২০৫৯ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৯, ২০১৫