চান্দিনা (কুমিল্লা): বিএনপির ডাকা অনির্দিষ্টকালের অবরোধে মাঠে নেই কুমিল্লা উত্তর জেলা ২০ দলীয় জোটের নেতা-কর্মীরা।
অবরোধের পঞ্চমদিন শনিবার (১০ জানুয়ারি) সকাল পর্যন্ত দলের কর্মসূচি বাস্তবায়নে জেলার দেবিদ্বার, হোমনা, মুরাদনগর, দাউদকান্দিসহ সাত উপজেলার কোনো নেতা-কর্মীকে রাজপথে দেখা যায়নি।
অবরোধের দ্বিতীয় দিন পর্যন্ত দেশের জেলার ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে কম সংখ্যক যানবাহন চলাচল করতে দেখা গেলেও তৃতীয় দিন (বৃহস্পতিবার) থেকে চতুর্থদিন (শুক্রবার) দূরপাল্লার যানবাহনসহ চলাচলে প্রায় স্বাভাবিক ব্যস্ততা ফিরে আসে।
শুক্রবার জুমার নামাজের পর থেকে যান চলাচল স্বাভাবিক হতে দেখা যায়। তবে মহাসড়কে কুমিল্লার দক্ষিণাংশের স্টেশন এলাকাসহ বিভিন্ন পয়েন্টে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর কিছু সংখ্যক সদস্যের উপস্থিতি দেখা গেলেও টহল টিমের তৎপরতা নেই বললেই চলে।
জোটের প্রধান শরিক দল বিএনপি’র কেন্দ্রীয় শীর্ষ নেতা ড. খন্দকার মোশারফ হোসেন ও ব্যরিস্টার রফিকুল ইসলাম মিয়া এবং শরিকদল এলডিপির মহাসচিব ড. রেদোয়ান আহমেদের বাড়ি কুমিল্লার উত্তর জেলায় হওয়ার পরও সরকার পতনের চলতি আন্দোলনে তাদের নিজ নিজ নির্বাচনী এলাকায় অবরোধ কর্মসূচি বাস্তবায়নে নেই কোনো কর্মসূচি।
অপর দিকে, ২০ দলীয় জোটের অবরোধ কর্মসূচির বিপক্ষে আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনসহ ১৪ দলেরও তেমন তৎপরতা নেই জেলার রাজনীতিতে। অবরোধ কর্মসূচি শুরু হওয়ার আগে ২০ দলের হরতাল কর্মসূচিতে সাবেক ডেপুটি স্পিকার অধ্যাপক মো. আলী আশরাফ এমপি’র নেতৃত্বে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কসহ চান্দিনায় হরতাল বিরোধী মিছিল বের হলেও অবরোধ কর্মসূচিতে তেমন তৎপরতা নেই তাদের।
এছাড়া কুমিল্লা উত্তর জেলা আওয়ামী লীগ ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আব্দুল আওয়াল সরকারের নিজ এলাকা দাউদকান্দি, সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম সরকারের মুরাদনগরসহ উত্তর জেলায় দেবিদ্বার, হোমনা, তিতাস, মেঘনা উপজেলায় অবরোধ কর্মসূচির বিপক্ষে মাঠে নামেনি ১৪ দল নেতা-কর্মীরা।
কিন্তু অবরোধ কর্মসূচিতে ২০ দলের তেমন তৎপরতা না থাকায় আমরাও তেমন মাথা ঘামাবো না। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কুমিল্লা উত্তর জেলা আওয়ামী লীগ সদস্য ও চান্দিনা উপজেলা আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী এক নেতা জানান, হরতালে ২০ দলীয় জোটে মাঠে আন্দোলন করার চেষ্টা করায় আমরাও তাদের আন্দোলন প্রতিহত করতে মাঠে নেমেছিলাম। চ্ছি না। মহাসড়কে যান চলাচল দেখে মনেই হয় না যে, অবরোধ কর্মসূচি চলছে।
এ ব্যাপারে কুমিল্লা উত্তর জেলা বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক আক্তারুজ্জামান সরকারের ব্যক্তিগত মোবাইল ফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি।
বাংলাদেশ সময়: ১২২৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১০, ২০১৫