রাজশাহী: রাজশাহীর তানোর উপজেলায় আদিবাসী যুবক বাবলু হেমব্রমকে রাজনৈতিক কারণে পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী হত্যা করা হয়েছে বলে ধারণা করছে পুলিশ।
এ ঘটনায় মামলা হলেও পুলিশ এখনো কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি।
পুলিশ জানায়, সান্তাল স্টুডেন্ট ইউনিয়নের কেন্দ্রীয় সদস্য ছিলেন বাবলু।
তানোর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকতা (ওসি) আনোয়ার হোসেন বলেন, বাবলুর বাবা ময়েশ্বর হেমব্রম বাদী হয়ে শুক্রবার (০৯ জানুয়ারি) রাতেই তানোর থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলায় অজ্ঞাতপরিচয় বেশ কয়েক জনকে আসামি করা হয়েছে।
তিনি বলেন, পুলিশ গুরুত্বের সঙ্গে ঘটনাটির তদন্ত শুরু করেছে। তার সঙ্গে কারো রাজনৈতিক, পারিবারিক এবং ব্যক্তিগত কোনো বিরোধ ছিল কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
এরই মধ্যে বাবলুর ব্যবহৃত ল্যাপটপ ও মোবাইল ফোন সেট জব্দ করা হয়েছে। তার মোবাইল ফোনের কললিস্ট ধরে অনুসন্ধান চালানো হচ্ছে। শিগগিরই এ হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটন করা যাবে বলেও আশা প্রকাশ করেন ওসি আনোয়ার হোসেন।
এদিকে, হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে জাতীয় আদিবাসী পরিষদ, সান্তাল স্টুডেন্ট ইউনিয়ন বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন করেছে।
শনিবার সকাল ১১টায় তানোর উপজেলা সদরে বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন করা হয়। বাবলু হত্যায় জড়িতদের অবিলম্বে শনাক্ত করে তাদের গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান আদিবাসী নেতারা।
এছাড়া বাবলু হত্যার বিচারের দাবিতে রোববার জেলা প্রশাসকের কার্যালয় ঘেরাও এবং স্মারকলিপি দেওয়া হবে বলে জানান সান্তাল স্টুডেন্ট ইউনিয়নের সাংগঠনিক সম্পাদক সমর সরেন।
রাজশাহীর তানোর উপজেলার ময়েনপুর গ্রামে বৃহস্পতিবার দিনগত রাতে বাবলু হেমব্রম (২৬) নামে এক আদিবাসী যুবককে গলা কেটে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৫৯ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১০, ২০১৫