রাজশাহী: রাজশাহীতে পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় দায়ের মামলায় রিমান্ড শেষে শিবিরের নয় কর্মীকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
দুইদিন রিমান্ড শেষে রোববার দুপুরে তাদের আদালতে হাজির করা হলে ম্যাজিস্ট্রট কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
৬ জানুয়ারি সকাল সোয়া ১০টার দিকে মহানগরীর শালবাগান এলাকার পাশে আলিফ লাম মিম ভাটার সামনে রাজশাহী-নওগাঁ মহাসড়কে পুলিশের চার সদস্যকে ব্যাপক মারধর করে গুরুতর আহত করে শিবিরের নেতাকর্মীরা।
এদিকে, রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদের পর তাদের কাছ থেকে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া গেছে। তবে মূল হোতাদের গ্রেফতারের স্বার্থে এখনই তা প্রকাশ করা যাবে না বলে জানিয়েছেন শাহ মখদুম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সায়েদুর রহমান ভূঁইয়া।
তিনি জানান, পুলিশ পেটানোর সময় কারা কারা সেখানে ছিল, এর পরিকল্পনা এবং মূল হোতাদের ব্যাপারে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য মিলেছে। সেসব তথ্যের ভিত্তিতে পুলিশ জড়িতদের গ্রেফতারে অনেক দূর এগিয়েছে।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা শাহ মখদুম থানার উপপরিদর্শক (এসআই) সেলিম রেজা জানান, গত বুধবার (০৭ জানুয়ারি) শিবিরের আট কর্মীর প্রত্যেককে দুইদিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। পরে আটক শিবির ক্যাডার সুমন রেজার বিরুদ্ধেও দুইদিনের রিমান্ড মঞ্জুর হয়।
শুক্রবার তাদের কারাগার থেকে থানায় এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। পরে রোববার দুপুরে আদালতের মাধ্যমে তাদের কারাগারে পাঠানো হয়।
শাহ মখদুম থানায় দুই দিনের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা শিবির কর্মীরা হলেন- রবিউল ইসলাম (১৮), মাসুদ রানা (১৮), মোস্তাফিজুর রহমান (১৮), জনি (১৮), নাইয়ার আলী (৪২), রমজান আলী (২৬), সোহেল রানা (২০) এবং শাহীনুর ইসলাম (২০) ও সুমন রেজা (২৮)।
এর আগে রাজশাহীতে পুলিশ পেটানোর ঘটনায় মামলা দায়ের করা হয় গত ৬ জানুয়ারি। মোট ৪৯ জনের নাম উল্লেখসহ ৬০ থেকে ৭০ জন শিবির নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলাটি দায়ের করা হয়।
পুলিশের ওপর হামলা, ভাঙচুর ও আহত করার অভিযোগে মহানগরীর শাহ মখদুম থানার উপপরিদর্শক (এসআই) জাহাঙ্গীর আলম বাদী হয়ে মঙ্গলবার গভীর রাতে মামলাটি দায়ের করেন।
প্রসঙ্গত, রাজশাহীতে পুলিশের ওপর হামলা চালায় ছাত্রশিবির কর্মীরা। ৬ জানুয়ারি সকাল সোয়া ১০টার দিকে মহানগরীর শালবাগান এলাকার পাশে আলিফ লাম মিম ভাটার সামনে রাজশাহী-নওগাঁ মহাসড়কে এ হামলার ঘটনা ঘটে। এতে চার পুলিশ সদস্য আহত হন। তবে তারা আশঙ্কামুক্ত।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৩৯ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১১, ২০১৫