হবিগঞ্জ: হবিগঞ্জ জেলা বিএনপি সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট এনামুল হক সেলিমকে আটকের চেষ্টার ঘটনাকে কেন্দ্র করে বিএনপি-পুলিশ সংঘর্ষে পুলিশসহ অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছেন।
রোববার (১১ জানুয়ারি) দুপুর ২টায় শহরের বাইপাস সড়কের ২ নম্বর পুল থেকে পোদ্দারবাড়ি এলাকা পর্যন্ত এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
আহতরা হলেন- রাবার বুলেট বিদ্ধ জেলা স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা আব্দুল মন্নান (৪৫), শাহাব উদ্দিন (৩৫), যুবদল নেতা শামসুল ইসলাম মতিন (৩৫), ছাত্রদল নেতা ওয়াহিদুজ্জামান ওয়াহিদ (২৮) ও মোটর চালক দলনেতা তারা মিয়াসহ (৩০) অন্তত ১২ জন। এছাড়া পুলিশের তিন সদস্য আহত হয়েছেন। আহতদের প্রাথমিক চিকৎসা দেওয়া হয়েছে।
সংঘর্ষে জড়িত অভিযোগে পুলিশ স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা জুয়েল মিয়াকে (৩০) আটক করে। আটক জুয়েল হবিগঞ্জ সদর উপজেলার বহুলা গ্রামের আব্দুর রহিমের ছেলে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, দুপুরে অবরোধের সমর্থনে শহরের বাইপাস সড়কে জেলা বিএনপি সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট এনামুল হক সেলিমের নেতৃত্বে একটি মিছিল বের করে বিএনপি। মিছিলটি ২ নম্বর পুল এলাকায় এলে পুলিশ জেলা বিএনপি সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট এনামুল হক সেলিমকে আটকের চেষ্টা করে। এসময় অন্যান্য নেতাকর্মীরা পুলিশের কাছ থেকে সেলিমকে ছিনিয়ে নেয়।
এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে শহরের বাইপাস সড়কের ২ নম্বর পুল, পোদ্দারবাড়ি ও কবির কলেজের কাছে পুলিশের সঙ্গে বিএনপি নেতাকর্মীদের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
প্রথমে পুলিশ পিছু হটে গেলেও পরে অতিরিক্ত পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে ২৫ রাউন্ড রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
এসময় বিএনপি নেতাকর্মীরা একটি ট্রাক, দু’টি বাস, একটি অটোরিকশা ও একটি ম্যাক্সি ভাঙচুর করে।
হবিগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাজিম উদ্দিন বাংলানিউজকে বলেন, সংঘর্ষে জড়িত থাকায় ইতোমধ্যে একজনকে আটক করা হয়েছে। অন্যান্যদের আটক করতে পুলিশের অভিযান চলছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৭১৯ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১১, ২০১৫