রাঙামাটি: তিন ঘণ্টা বিরতি দিয়ে রাঙামাটি শহরে সোমবার (১২ জানুয়ারি) বেলা ১১টা থেকে ফের কারফিউ জারি করেছে জেলা প্রশাসন।
প্রথমে অনির্দিষ্টকালের জন্য কারফিউ জারি করা হলেও সাধারণ মানুষের দুর্ভোগের কথা চিন্তা করে পরে তা শিথিল করে বিকেল ৫টা পর্যন্ত করা হয়।
রাঙামাটির জেলা প্রশাসক মো. শামসুল আরেফিন কারফিউ শিথিল করার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে রোববার সন্ধ্যা থেকে সোমবার সকাল ৮টা পর্যন্ত শহরে কারফিউ জারি ছিল। কারফিউ চলাকালে রাতে শহরের বিভিন্ন স্থান থেকে অন্তত ৩৫ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনু সোহেল ইমতিয়াজ বাংলানিউজকে জানান, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত কারফিউ চলবে।
তিনি আরো জানান, কারফিউ জারির বিষয়টি শহরের বিভিন্ন স্থানে মাইকিং করে জানিয়ে দেওয়া হচ্ছে।
এদিকে সোমবার সেনাবাহিনী, বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি), র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) ও পুলিশের বিপুল সংখ্যক সদস্য শহরের বিভিন্ন স্থানে টহল দিচ্ছে।
রোববার বিকেলে সহিংসতার গুজব ছড়িয়ে পড়লে চারদিকে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে জেলা প্রশাসন সন্ধ্যায় শহরে কারফিউ জারি করে। সোমবার সকাল ৮টা পর্যন্ত এ আদেশ জারি ছিল। কিন্তু এখনো শহরে উত্তেজনা বিরাজ করায় ফের বেলা ১১টা থেকে ফের কারফিউ জারি করা হলো।
রাঙামাটিতে মেডিকেল কলেজ চালু করাকে কেন্দ্র করে পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ (পিসিপি) ও মেডিকেল কলেজ সমর্থকদের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছিলো। এর পরিপ্রেক্ষিতে শনিবার (১০ জানুয়ারি) রাঙামাটি মেডিকেল কলেজের শিক্ষা কার্যক্রমের উদ্বোধনের আগে পিসিপির কর্মীদের সঙ্গে মেডিকেল কলেজ সমর্থকদের সংঘর্ষ হয়। এতে সাংবাদিকসহ অন্তত ২০ জন আহত হয়।
ওই ঘটনার পর জেলার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে শনিবার ১৪৪ ধারা জারি করে জেলা প্রশাসন।
বাংলাদেশ সময়: ১০৫৬ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১২, ২০১৫/আপডেট: ১৩৩০