কক্সবাজার: কক্সবাজার শহরে পুলিশ সুপার শ্যামল কুমার নাথের ব্যবহৃত সরকারি গাড়িতে ৩টি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে দুর্বৃত্তরা। তবে এ ঘটনায় কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।
বৃহস্পতিবার (১৪ জানুয়ারি) দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে শহরের প্রধান সড়কের ফায়ার সার্ভিস স্টেশন এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
এরপর রাত ৩টা পর্যন্ত অভিযান চালিয়ে নাশকতা সৃষ্টির দায়ে ছাত্রশিবিরের ৯ কর্মী ও যুবদলের এক নেতাকে আটক করেছে সদর থানা পুলিশ।
আটক শিবির কর্মীরা হলেন, রামু উপজেলার পূর্ব মো.পুর এলাকার আব্দুর রহমানের ছেলে তারেক ( ১৮ ), চকরিয়া উপজেলার ডুলাহাজারা এলাকার গিয়াস উদ্দিনের ছেলে নাজমুল সাকিব ( ১৮ ), একই এলাকার এস. এম আহমদ হোসাইনের ছেলে মোরতোজা আহমদ নাঈম ( ১৭ ) ও তার সহোদর মোস্তফা আহাং রায়হান (১৫ ), মৃত গোলাম কাদেরের ছেলে আরিফুল ইসলাম ( ২২ ), ফাসিয়াখালী এলাকার মাহমুদ হোসাইনের ছেলে জুবায়ের হোসাইন ( ২৬), সদর উপজেলার ঈদগাঁও ইউনিয়নের মৃত মমতাজুল হকের ছেলে ইমরুল কায়েস (১৬ ), পিএম খালী ইউনিয়নের তোতকখালী গ্রামের রশিদ আহমদের ছেলে নজরুল ইসলাম ( ১৬), এবং শহরের ঘোনাপাড়াস্থ বড় কবরস্থান পাড়ার মৃত আব্দুল মোতালবের ছেলে শাহেদ মো. সেলিম।
এছাড়া ঝিলংজা ইউনিয়ন যুবদলের যুগ্ম আহবায়ক মো. তারেক প্রকাশ তারেক মাহমুদকেও ( ৩০) আটক করে পুলিশ। তারেক সরকারি কলেজ গেটস্থ জানা ঘোনার মৃত গোলাম কাদেরের ছেলে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ সূত্র জানায়, দুর্বত্তরা তিনভাগে ভাগ হয়ে একই সময়ে ককটেলগুলির বিস্ফোরণ ঘটায়। মাত্র এক মিনিটের মধ্যেই শহরের আধা কিলোমিটার এলাকার মধ্যে তারা ৮টি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে আতঙ্ক তৈরি করে। প্রতিটি গ্রুপে প্রায়ই ১৫ জন ১৬ থেকে ১৮ বছরের তরুণ ছিল।
এ সময় হামলাকারীদের একটি দল পুলিশ সুপারের গাড়ি লক্ষ্য করে ৩টি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে বার্মিজ মার্কেট এলাকার দিকে পালিয়ে যায়।
কক্সবাজার সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী মতিউল ইসলাম বাংলানিউজকে জানান, শহরের বার্মিজ মার্কেট ও গোলদিঘীর পাড় এলাকায় অভিযান চালিয়ে এদের আটক করা হয়। আটক শিবির কর্মীদের কাছ থেকে ফুলকুড়ি আসরের নানা কাগজপত্র জব্দ করা হয়।
আটকদের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট আইনে মামলা দায়ের করে আদালতে প্রেরণ করা হবে বলেও জানা ওসি।
বাংলাদেশ সময়: ০৭০৩ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৫, ২০১৫