ঢাকা: লাগাতার অবরোধের মধ্যে বিএনপির নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোটের ডাকা বৃহস্পতিবারের (১৫ জানুয়ারি) সকাল-সন্ধ্যা (১২ ঘন্টা) হরতালে রাজধানীতে অনেকটা ঢিমেতাল লক্ষ্য করা যাচ্ছে।
স্বাভাবিক দিনের চেয়ে যান চলাচল কিছুটা কম।
সকাল থেকে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় সরেজমিনে ঘুরে এমন চিত্র দেখা যায়।
প্রেসক্লাবের সামনে দায়িত্বরত শাহবাগ থানার এসআই মোহাম্মদ হানিফ বাংলানিউজকে বলেন, ভোর ৫টা থেকে আমরা এখানে নিরাপত্তার দায়িত্বে রয়েছি। শুধু প্রেস ক্লাবের সামনেই আমার তত্ত্বাবধায়নে ২২ জন পুরুষ এবং ৭ জন নারী পুলিশ সদস্য দায়িত্ব পালন করছেন।
ওই এলাকায় ভোর থেকে কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি জানিয়ে তিনি বলেন, পুলিশের সার্বক্ষণিক সতর্কতার কারণে কোনো ধরনের নাশকতার আশঙ্কাও নেই। তবে যে কোনো ধরনের নাশকতার বিরুদ্ধে পুলিশ সতর্ক রয়েছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, সকাল থেকে রাজধানীর শ্যামলী, মোহাম্মদপুর, আসাদগেট, খামারবাড়ী, ফার্মগেট, পল্টন, গুলিস্তান, শাহবাগ হয়ে জাতীয় প্রেস ক্লাব পর্যন্ত কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি।
ঢাকার কয়েকটি বিশেষ এলাকায় দায়িত্বরত গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, সকাল থেকেই চোখ-কান খোলা রেখে বিশেষ সতর্কতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন তারা।
তারা জানিয়েছেন, হরতালের কারণে অন্যান্য দিনের তুলনায় ভোর রাত থেকেই দায়িত্ব পালন করতে হচ্ছে তাদের।
রিকশাচালক মোহাম্মদ মতিউরের সঙ্গে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনের রাস্তায় কথা হয়। এ সময় তিনি বাংলানিউজকে জানান, সকাল ৬টায় যাত্রাবাড়ী থেকে যাত্রী নিয়ে পল্টন এলাকায় আসি। কোথাও কোনো ধরনের সমস্যা হয়নি।
তিনি বলেন, সকালে বের হওয়ার সময় ভয় লাগছিলো, কিন্তু পেটের দায়ে রাস্তায় বের হয়েছি। তবে বের হবার পর ভয় কেটে গেছে। কারণ রাস্তায় অনেক মানুষ। পাশাপাশি পুলিশতো আছেই।
পল্টন এলাকায় কথা হলো বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা মোহাম্মদ সেলিম আহমেদের সঙ্গে। তিনি বাংলানিউজ বলেন, সকাল ৯টায় অফিস হলেও ব্যক্তিগত কাজে বের হয়েছি।
হরতালের সকালে বের হয়েছেন, ভয় কাজ করছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, আগে হরতালে সকাল কেন, দুপুরেও বের হতে ভয় করতো। কিন্তু এখন অবস্থা সে রকম নেই। মোড়ে মোড়ে পুলিশ রয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১০৪৫ ঘন্টা, জানুয়ারি ১৫, ২০১৫