মেহেরপুর: মেহেরপুরে নাশকতার আশঙ্কায় বিএনপির ১৩ নেতাকর্মীকে আটক করেছে পুলিশ।
বুধবার (১৪ জানুয়ারি) রাতভর জেলার বিভিন্ন গ্রামে অভিযান চালিয়ে নিজ নিজ বাড়ি থেকে তাদের আটক করা হয়।
এদের মধ্যে মেহেরপুর সদর থানা চারজন, গাংনী ছয়জন ও মুজিবনগর থানা পুলিশ তিনজনকে আটক করে।
এরা হলেন- জেলা শহরের বাসস্ট্যান্ড পাড়া এলাকার জমির উদ্দীনের ছেলে মিন্টু হোসেন (২৭), সদর উপজেলার হরিরামপুর গ্রামের মনিরুল ইসলামের ছেলে বিনারুল ইসলাম (২৬), একই গ্রামের আব্দুস সাত্তারের ছেলে আহসান হাবীব (২৬), রুদ্রনগর গ্রামের মৃত পাতান শেখের ছেলে মুক্তি হোসেন (২৮), মুজিবনগর উপজেলার বাগোয়ান গ্রামের ছইমদ্দীনের ছেলে সাজেদুল হক (২৭), একরামুল হকের ছেলে সবিরুল ইসলাম (৩০) ও সুলতান হকের ছেলে আবুল হাশেম (৪৫), গাংনী উপজেলার মহিষাখোলা গ্রামের রইছদ্দীনের ছেলে খোকন (৪০), পুরাতন মটমুড়া গ্রামের মৃত ওয়াজের আলীর ছেলে মতিয়ার রহমান (৪০), কুষ্টিয়া জেলার খাজানগর এলাকার ইউনুস আলীর ছেলে তরিকুল ইসলাম ওরফে রানা (২৩), কুষ্টিয়া জেলার মিরপুর উপজেলার বানিয়া শিশা গ্রামের আবুল কাশেমের ছেলে সুমন হোসেন (২৫), কুষ্টিয়া জেলা শহরের আড়ুয়াপাড়া এলাকার শুকুর দত্তের ছেলে মোমিন দত্ত (২২) ও একই এলাকার শোভাষের ছেলে সৌরভ (২৪)।
বামুন্দী পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ উপ-পরিদর্শক (এসআই) তোহিদুল ইসলাম বামুন্দী বাজার এলাকা থেকে তরিকুল ইসলাম রানা, সুমন হোসেন, মোমিন দত্ত ও সৌরভকে আটক করে। তারা সবাই বিএনপি কর্মী বলে জানিয়েছেন গাংনী থানার ওসি রিয়াজুল ইসলাম।
এলাকায় নাশকতা ঘটাতে তারা কুষ্টিয়া থেকে গাংনীর বামুন্দী এলাকায় জড়ো হয়েছিলো বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করছে পুলিশ। থানায় তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে বলে জানান তিনি।
গাংনী থানার ওসি রিয়াজুল ইসলাম, সদর থানার ওসি আহসান হাবীব ও মুজিবরনগর থানার ওসি রবিউল ইসলামের নেতৃত্বে পুলিশের একাধিক দল অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করে।
পুলিশ সুপার হামিদুল আলম বাংলানিউজকে জানান, কার্যবিধির ১৫১ ধারায় আটক দেখিয়ে তাদের আদালতের মাধ্যমে মেহেরপুর জেলহাজতে পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে।
এদিকে, বিএনপি নেতাকর্মীদের বিনা মামলায় আটক, বাড়ি বাড়ি তল্লাশি ও গ্রেফতারের তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সহত্রাণ বিষয়ক সম্পাদক ও সাবেক এমপি আমজাদ হোসেন।
বাংলাদেশ সময়: ১০৫৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৫, ২০১৫