ঢাকা: বিভিন্ন দেশের বিবৃতি ও সহানুভূতি আনার জন্য খালেদার নির্দেশেই রিয়াজ রহমানের ওপর হামলা করা হয়েছে বলে দাবি করেছেন আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ।
বৃহস্পতিবার ১২টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট আয়োজিত হরতালবিরোধী সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ দাবি করেন।
হাছান মাহমুদ বলেন, জনগণ দিয়ে প্রত্যাখ্যাত হয়ে খালেদা দিশেহারা হয়ে পড়েছেন। সেই সঙ্গে বিদেশিদের বিবৃতি জাল করে বিতর্কিতও হয়েছেন।
তিনি বলেন, বিদেশিদের বিবৃতি ও সহানুভূতি পাওয়ার আশায় নিজদলের লোকদের ওপরেই খালেদার প্রত্যক্ষ নির্দেশে হামলা চলছে।
হরতাল ডাকার যৌক্তিকতা তুলে ধরে হাছান মাহমুদ বলেন, রিয়াজ রহমানের ওপর হামলা হয়েছে গত মঙ্গলবারে। হরতাল ডাকার কথা গতকাল (বুধবার)। কিন্তু হরতাল ডেকেছে ঘটনার একদিন পর। কারণ, আজ খালেদা জিয়ার মামলায় হাজিরা দেওয়ার কথা ছিল। মূলত, নিজেকে বাঁচানোর জন্যই আজকের (বৃহস্পতিবার) এই হরতাল।
তিনি আরো বলেন, জনগণ স্বতঃস্ফূর্তভাবে রাস্তায় নেমে জানান দিয়েছে, খালেদার এই অযৌক্তিক হরতাল প্রত্যাখ্যান করেছেন। আর সে জন্যই খালেদা জনগণের ওপর ক্ষেপে গিয়ে পেট্রোল বোমা দিয়ে মানুষ পুড়িয়ে হত্যা করছেন।
বিএনপির সমালোচনা করে আওয়ামী লীগের এই নেতা বলেন, যারা জনগণকে নিয়ে রাজনীতি করতে চায়, জনগণের প্রত্যক্ষ ভোটে নির্বাচিত হতে চায়, তারা কীভাবে জনগণের ওপর পেট্রোল বোমা ছুড়ে হত্যা করে।
হাছান মাহমুদ বলেন, শিশুসহ সাধারণ মানুষকে পুড়িয়ে হত্যা করা হলো। তবুও খালেদা কিছু বলেননি। রিয়াজ মাহমুদের ওপর হামলা হতেই তিনি হরতাল ডেকেছেন। এতেই প্রমাণিত হয়, খালেদার নির্দেশেই মানুষ পুড়িয়ে হত্যা করে দেশে নৈরাজ্য সৃষ্টি করা হচ্ছে। আর এ হত্যাকাণ্ডের জন্য খালেদাকে গ্রেফতার করে বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় করানো উচিত।
হরতালের নামে দেশে নৈরাজ্যের বিরুদ্ধে পাড়া-মহল্লায় প্রতিরোধ গড়ে তোলার জন্য জনগণের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
আয়োজক সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক অরুণ সরকার রানার সভাপতিত্বে সমাবেশে আরো বক্তব্য রাখেন- সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শামসুল হক টুকু, আওয়ামী লীগের উপকমিটির সহসম্পাদক সালাউদ্দিন চৌধুরী, এম এ করিম, হাসিবুল রহমান মানিক, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের (একাংশের) সাধারণ সম্পাদক শাবান মাহমুদ, পেশাজীবী সমন্বয় পরিষদের মহাসচিব কামরুল হাসান প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ১২৩২ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৫, ২০১৫/আপডেটেড: ১৩২৮ ঘণ্টা