ঢাকা, শুক্রবার, ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

নাজমুল হুদার নেতৃত্বে নতুন জোটের আত্মপ্রকাশ

সিনিয়র স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪১৬ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৫, ২০১৫
নাজমুল হুদার নেতৃত্বে নতুন জোটের আত্মপ্রকাশ ছবি: রেহানা/ বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

ঢাকা: বাংলাদেশ মানবাধিকার পার্টির চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার নাজমুল হুদার নেতৃত্বে আত্মপ্রকাশ করলো ২৬ দলের সমন্বয়ে গড়া নতুন জোট। নাম ‘বাংলাদেশ জাতীয় জোট’ (বিএনএ) ।

জোটের প্রধান নাজমুল হুদা নিজেই।

বৃহস্পতিবার (১৫ জানুয়ারি) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের হলরুমে নতুন এ জোট আত্মপ্রকাশ করে।

জোট গঠন করেই জাতিসংঘের সহায়তায় দেশের বর্তমান রাজনৈতিক সংকট দুই নেত্রীকে আলোচনার মাধ্যমে সমাধানের আহ্বান জানান নাজমুল হুদা।

জোট ঘোষণার পর দলের করণীয় ঘোষণা করেন তিনি।

শেরেবাংলা এ কে ফজলুল হক, মওলানা ভাসানী, হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও জিয়াউর রহমানের প্রতি শ্রদ্ধা থাকবে। তাদের মর্যাদা, সম্মান যাতে অক্ষুণ্ণ থাকে সে চেষ্টাও অব্যাহত থাকবে। তাদের নামে কেউ কটূক্তি করলে তার প্রতিহত করবে জোট।

সুস্থ রাজনীতির মাধ্যমে সুশাসন নিশ্চিত করতে দু’দলের পাল্টাপাল্টি সংঘাত অবসান ঘটানোর চেষ্ট‍া করবে।

নতুন এ জোটকে ইস্পাত কঠিন ঐক্যের মাধ্যমে টিকিয়ে রাখ‍া হবে। একই সঙ্গে মানবাধিকার, সংবিধান সমুন্নত রাখতে কাজ করবে জোট।

অন্ন, বস্ত্র, বাসস্থান, শিক্ষা, স্বাস্থ্য- এ পাঁচ মৌলিক চাহিদা যাতে সচল থাকে, তার পক্ষে কাজ করবে জোট।

সন্ত্রাস ও দুর্নীতি মুক্ত করতে কাজ করবে।

দলীয়করণের অভিশাপ থেকে দেশকে মুক্ত করবে।

প্রশাসন ও বিচার বিভাগকে স্বাধীন ও নিরপেক্ষ রাখবে।

দেশে সুষ্ঠু, অবাধ, নিরপেক্ষ নির্বাচন নিশ্চিত করবে। এবং দেশে সত্যিকার অর্থে জনপ্রতিনিধিত্বশীল সরকার গঠন করবে।

দেশের আইন কোনো ব্যক্তির অধীনে নয়, যেন নিরপেক্ষ থাকে সেদিকে খেয়াল রাখবে। হত্যা, গুম যেন না হয় সেটা চেষ্টা করবে।

দেশের সংঘাতময় পরিস্থিতি অবসানে জাতিসংঘের মাধ্যমে সংকট নিরসনের আহ্বান জানান তারা।

পরে রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে নাজমুল হুদা বলেন, মুক্তমতকে আইনের মাধ্যমে স্তব্ধ করা তারা পছন্দ করে না। নিবন্ধন সংবিধান পরিপন্থি বিধান। রাজনীতি হলো মুক্তমতের একটি মঞ্চ। এই বিধান আগে ছিলো না।

নেতুন জোট ঘোষণার সময় বাংলাদেশ লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির নাজিম উদ্দিন আল আজাদ,  বাংলাদেশ ন্যাশনাল কংগ্রেসের শেখ শহিদুজ্জামান,  বাংলাদেশ ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক পার্টির শেখ মুস্তাফিজুর রহমান,  জাগো বাঙালি দলের শেখ হাবিবুর রহমান, ইউনাইটেড মাইনরিটি পার্টির আর এম দাশ, বাংলাদেশ প্রতিবাদী জনতা পার্টির মো. ওমর ফারুক ফরাজী, বাংলাদেশ পিপলস ডেমোক্রেটিক পার্টির হাজি মো. জালাল উদ্দিন, গণতান্ত্রিক ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টির অ্যাডভোকেট মো. জাহাঙ্গীর হোসেন, গণত‍ান্ত্রিক ন্যাপের মো. তোফাজ্জল হোসেন, বাংলাদেশ মাইনরিটি ইউনাইটেড ফ্রন্টের দিলীপ কুমার দাশ গুপ্ত, ন্যাশনাল লেবার পার্টির আবদুল্লাহ জিয়া ছাড়াও বাংলাদেশ সচেতন হিন্দু পরিষদ, বাংলাদেশ তফসিল ফেডারেশন, বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক মুক্তি আন্দোলন, গণ সংগ্রাম পরিষদ, বাংলাদেশ গণশক্তি পার্টি, বাংলাদেশ লেবার পার্টি, বাংলাদেশ রিপাবলিক পার্টি, বাংলাদেশ কৃষক শ্রমিক আওয়ামী লীগের প্রধানরা উপস্থিত ছিলেন।

** সংকট নিরসনে জাতিসংঘের সহায়তা চায় হুদার জোট

বাংলাদেশ সময়: ১৩৫০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৫, ২০১৫

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।