ঢাকা: বিএনপির পলাতক সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে দেশে ফিরিয়ে আনতে ব্যবস্থা নিচ্ছে সরকার। বৃহস্পতিবার (১৫ জানুয়ারি) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে ‘মিট দ্য রিপোর্টার্স’ অনুষ্ঠানে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক এ তথ্য দেন।
আইনমন্ত্রী বলেন, জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলা এবং ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলায় তিনি পলাতক। তাকে ফিরিয়ে আনা হবে।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, যে আইনে জনগণের সম্পৃক্ততা থাকবে সে আইন করা হয়। হরতাল বন্ধ জনগণের দাবি হলে আইন করা হবে। হরতালের নামে এখন যা হচ্ছে তা ‘সন্ত্রাস’। সন্ত্রাস দমন আইন আছে। এখন এ আইন প্রয়োগ করা হবে।
পরিস্থিতি থেকে উত্তরণে সংলাপে যাবেন কি-না এমন প্রশ্নের জবাবে আনিসুল হক বলেন, পাকিস্তানে ১৩২ স্কুল শিক্ষার্থীকে হত্যা করেছে তালেবানরা। সেখানে কি সংলাপ সম্ভব?। তালেবানদের সঙ্গে আলোচনা করা না গেলে, কোনো সন্ত্রাসী সংগঠনের সঙ্গে আলোচনা নয়। আর আলোচনার জন্য এজেন্ডা কী? বিশৃঙ্খলা করে আলোচনার জন্য বলা হলে বসবো না। কেউ যদি দেশের উন্নয়নে সহযোগিতা করতে চান তাহলে একশ’বার আলোচনায় বসবো।
সাংবাদিক সাগর-রুনি হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে আনিসুল হক বলেন, আইনের শাসনকে সুদৃঢ় করতে সব হত্যাকাণ্ডের বিচার হওয়া উচিত। আইন সবার ঊর্ধ্বে। সাগর-রুনি হত্যাকাণ্ড মামলার তদন্ত করতে সময় লাগছে। তার মানে এই নয় যে, তদন্ত ধামাচাপা পড়ে আছে, নো। তদন্ত অব্যাহত আছে। তদন্তের মাধ্যমে আসল খুনি ধরা পড়বে। এখানে কিছু বিষয় আছে, যা বললে তদন্তে ব্যাঘাত ঘটবে।
গণমাধ্যমের পরিস্থিতি সম্পর্কে আইনমন্ত্রী বলেন, সাংবাদিকদের ওপর কোনো ধরনের নির্যাতন সরকার সহ্য করবে না।
বঙ্গবন্ধুর পলাতক খুনিদের ফিরিয়ে আনার বিষয়ে অ্যাডভোকেট আনিসুল হক বলেন, আমাকে বিশ্বাস করুন। আমরা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। নুর চৌধুরী কানাডায়, রাশেদ আছেন ইউএসএ। তারা যেন ওই দেশ থেকে পালাতে না পারেন সে বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি’র সভাপতি সাখাওয়াত হোসেন বাদশার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন সাধারণ সম্পাদক ইলিয়াস হোসেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৩৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৫,২০১৫
** তারেককে দেশে ফেরত আনতে ব্যবস্থা নিচ্ছে সরকার