ঢাকা, মঙ্গলবার, ১১ ভাদ্র ১৪৩২, ২৬ আগস্ট ২০২৫, ০২ রবিউল আউয়াল ১৪৪৭

রাজনীতি

বুধবার থেকেই সেনা মোতায়েনের দাবি বিএনপির

সিনিয়র স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮:১৯, এপ্রিল ২১, ২০১৫
বুধবার থেকেই সেনা মোতায়েনের দাবি বিএনপির বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ড. আসাদুজ্জামান রিপন

ঢাকা: সেনাবাহিনীকে বিচারিক ক্ষমতা দিয়ে বুধবার (২২ এপ্রিল) থেকেই তিন সিটি করপোরেশন এলাকায় নামানোর দাবি করেছে বিএনপি। নির্বাচনের পরও যাতে পাঁচদিন সেনাবাহিনী মাঠে থাকে তাও নির্বাচন কমিশনকে ভেবে দেখার আহ্বান করা হয়েছে দলটির পক্ষ থেকে।



মঙ্গলবার (২১ এপ্রিল) বিকেলে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালেয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে দলটির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ড. আসাদুজ্জামান রিপন এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, সেনাবাহিনীর প্রতি মানুষের যথেষ্ট আস্থা রয়েছে। তাদের বিচারিক ক্ষমতা দিয়ে নির্বাচনী এলাকায় নামানো হলে যে মানুষের মধ্যে যে রকম ভীতিকর পরিস্থিতি রয়েছে তা আর থাকবে না।

আসাদুজ্জামান রিপন বলেন, সরকারের কাছে সার্ভে (প্রতিবেদন) আছে তাদের প্রার্থীদের জয়ের কোনো সম্ভাবনা নেই। আর এ জন্যই তারা এসব সন্ত্রাসী হামলা-ভাঙচুর, হুমকি চালিয়ে যাচ্ছে। তারা চায় বিরোধীদল বিহীন বিএনপি।

‘নির্বাচনকে সুষ্ঠু করতে হলে চাই সমান প্রচারণার সুযোগ’ বিষয়টি উল্লেখ করে তিনি বলেন, সবার সমান প্রচারণার সুযোগই পারে নির্বাচনকে সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য করে তুলতে। এ সময় আবারও লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরির দাবি করেন তিনি।

‘সেনাবাহিনী মাঠে থাকলে নির্বাচন সুষ্ঠু ও জনগণ ভয়মুক্ত থাকে’-বলেন রিপন।

এছাড়া শেষ পর্যন্ত মোট ৪ দিনের জন্য সেনা মোতায়েনের নীতিগত সিদ্ধান্ত নেওয়ায় নির্বাচন কমিশনকে (ইসি) ধন্যবাদ জানিয়েছে বিএনপি।

সোমবার (২০ এপ্রিল) বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার গাড়িবহরে হামলার ঘটনাকে ‘নাটক’ বলার সমালোচনা করে রিপন বলেন, খালেদা জিয়ার ওপর এ ধরনের হামলার ঘটনার পর প্রধানমন্ত্রীর সমবেদনা জানানো উচিৎ ছিল। বিষয়টি খতিয়ে দেখা উচিৎ ছিল এবং জড়িতদের আটক করা উচিৎ ছিল। কিন্তু তার পরিবর্তে তিনি (প্রধানমন্ত্রী) এটিকে নাটক বলে আখ্যা দিয়েছেন! যা কাম্য নয়।

প্রধানমন্ত্রীর এ বক্তব্যে নির্বাচনকে ঘিরে সন্ত্রাসীরা আরও মাথাচাড়া দেবে মন্তব্য করে তিনি আরও বলেন, সেই সঙ্গে এতে নির্বাচনের পরিবেশ নষ্ট হবে। হানাহানি বাড়বে। এসব করে সরকার আসলে বিরোধীদল বিহীন গণতন্ত্র চায় তাই বোঝাচ্ছে তারা।

তিনি বলেন, আমরা বিএনপির নেতাকর্মীরা নতুন বছরের শুরুর দিন পহেলা বৈশাখ থেকে দেশে সুষ্ঠু রাজনীতির প্রত্যাশা করেছিলাম। কিন্তু আমাদের সেই আশা এই ধরনের ঘটনায় লুণ্ঠিত হচ্ছে।

এ সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন, বিএনপির সহ-দফতর সম্পাদক আসাদুল করিম শাহীন, ফরিদপুর জেলা বিএনপির সভাপতি জহিরুল হক শাহাজাদা, সাবেক সংসদ সদস্য হেলেন রেজিন খান, শাম্মী আকতার প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ১৮১৮ ঘণ্টা, এপ্রিল ২১, ২০১৫, আপডেট ১৮৩৬
এমএম/আইএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।