ঢাকা: বেগম রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেনের জন্ম ও মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে বাণী দিয়েছেন বিএনপি চেয়ারপার্সন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া।
মঙ্গলবার (৮ ডিসেম্বর) দলীয় মুখপাত্র ড. আসাদুজ্জামান রিপন স্বাক্ষরিত এক প্রেসবিজ্ঞপ্তিতে খালেদা জিয়া বলেন, ‘বেগম রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেনের জন্ম ও মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আমি তাঁর স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা এবং বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করছি।
বেগম রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেন ছিলেন এদেশের নারী জাগরণের অগ্রদূত। এদেশের রক্ষণশীল সমাজ ব্যবস্থায় বেড়ে ওঠা জীবনের অভিজ্ঞতায় তিনি উপলব্ধি করেছিলেন সমাজে নারীর পশ্চাদপদ অবস্থান। তিনি উপলব্ধি করেছিলেন শিক্ষাই নারীর আত্মমর্যাদা প্রতিষ্ঠার প্রধান অবলম্বন। নারী শিক্ষার বিস্তারের মধ্য দিয়ে নারীমুক্তির দর্শন ছিল তাঁর জীবন-সংগ্রামের লক্ষ্য।
নারীমুক্তির বাণী পৌঁছাতে গিয়ে তাঁকে সমাজের গোঁড়া-রক্ষণশীলদের প্রচণ্ড সমালোচনার মুখোমুখি হতে হয়েছিল। তা সত্ত্বেও তিনি ছিলেন কর্তব্যকর্মে অদম্য ও অবিচল। বেগম রোকেয়া তাঁর ক্ষুরধার লেখনীর মাধ্যমে নারীর প্রতি সমাজের অবিচার, অন্যায় ও বৈষম্যমূলক আচরণের বিরুদ্ধে তিনি ছিলেন সোচ্চার।
সংসার, সমাজ ও অর্থনীতি জীবনের এই তিনটি ক্ষেত্রে নারীর ক্ষমতায়ন ও আত্মমর্যাদাশীল হতে তিনি উদ্বুদ্ধ করেছিলেন নারী সমাজকে। আর এজন্য তিনি বিশ্বাস করতেন নারীকে উপযুক্ত শিক্ষা গ্রহণ করতে হবে। বেগম রোকেয়ার কর্মময় জীবন ও আদর্শ নারীর ক্ষমতায়নে আরো উদ্যমী ও অনুপ্রাণিত করবে বলে আমার বিশ্বাস।
উল্লেখ্য, ১৮৮০ সালের ৯ ডিসেম্বর রংপুরের পায়রাবন্দ গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন বাঙালি নারী জাগরণের অগ্রদূত বেগম রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেন। ১৯৩২ সালের একই দিনে তৎকালীন অবিভক্ত ভারতের কলকাতা শহরে মারা যান তিনি।
** বেগম রোকেয়ার জন্ম ও মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে মির্জা ফখরুল ইসলামের বাণী
বাংলাদেশ সময়: ১২৩৭ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৮, ২০১৫
আরআই