ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়: দু’দিনের ব্যবধানে ফের কোন্দলে জড়ালো ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। দায়িত্ব ও সব ধরনের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে আরও এক নেতাকে।
শনিবার (৫ ডিসেম্বর) স্যার এ এফ রহমান হলে দু’গ্রুপের সংঘর্ষ ও জিয়া হলের গেস্টরুমে সাধারণ ছাত্রদের নির্যাতনের পর সোমবার (৭ ডিসেম্বর) ফের কোন্দলে জড়ায় জিয়া হল ছাত্রলীগের দু’গ্রুপ।
প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থীদের হলে তোলা নিয়ে প্রথমে কোন্দল বাঁধে হলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি সাদ্দাম হোসেন ও ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক বনি আমিন মোল্লার কর্মীদের মধ্যে। এক পর্যায় সে কোন্দলে জড়ান ঢাবি ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক এবং জিয়া হলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোতাহার হোসেন প্রিন্সও।
এসময় পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে বিরোধী গ্রুপের হল শাখার এক নেতাকে মারধর করেন প্রিন্স।
এরপর পরিস্থিতি আরও ঘোলাটে হয় বলে জানান প্রত্যক্ষদর্শীরা। এসময় হলের অন্তত দু’টি রুম ভাঙচুরের ঘটনাও ঘটে বলে জানান হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক জিয়া রহমান।
হলের সহ-সভাপতি জায়েদুল জলিলের অভিযোগ, প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থীদের হলে তোলা নিয়ে হলের গেটে দু’গ্রুপের জুনিয়ররা বির্তক করছিলো। আমি তাদের থামানো চেষ্টা করছিলাম। কিন্ত এমন সময় উনি (মোতাহার হোসেন প্রিন্স) আমাকে থাপ্পড় মারেন।
তবে প্রিন্সের দাবি তিনি পরিস্থিতি শান্ত করতে নিজের অনেক কর্মীকেও চড় থাপ্পড় মেরেছেন।
বাংলানিউজকে তিনি বলেন, ওই সময় আমি এমন ভূমিকা না দিলে অনেক বড় সংঘর্ষ বাঁধতো হলে।
এ ব্যাপারে ঢাবি ছাত্রলীগ সভাপতি আবিদ আল হাসান বাংলানিউজকে বলেন, খবর পেয়ে আমি ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করি। এ ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থার পাশাপাশি হল কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ করেছি যথাযথ শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার।
অন্যদিকে দেরি করে প্রোগ্রামে যাওয়ার অজুহাতে গেস্টরুমে ১০জন সাধারণ শিক্ষার্থীকে মারধরের ঘটনায় জিয়া হলের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক বনি আমিন মোল্লাকে অনির্দিষ্টকালের জন্য সব ধরনের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।
সোমবার থেকে তার বিরুদ্ধে এ আদেশ কার্যকর বলে বাংলানিউজকে জানান, আবিদ আল হাসান ও মোতাহার হোসেন প্রিন্স।
এর আগে এ এফ রহমান হলের যুগ্ম সম্পাদক এইচ এম ইমরানকেও অব্যাহতি এবং পাঠচক্র সম্পাদক মাসুদ আলমকে শোকজ করা হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১২৫৯ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৮, ২০১৫
এসএ/এএ