ঢাকা, মঙ্গলবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

‘হত্যাকারীদের চোখে কান্না মানায় না ফখরুল সাহেব’

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩২২ ঘণ্টা, আগস্ট ২৬, ২০১৬
‘হত্যাকারীদের চোখে কান্না মানায় না ফখরুল সাহেব’ ছবি: জিএম মুজিবুর- বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

ঢাকা: ‘রিকশা চালকরা কি মানুষ না? তারা কি জীব-জন্তু? তবে কেন এতো কান্না? পেট্রোল বোমা মেরে যখন আপনার দল, আপনারা মানুষ হত্যা করেছেন, তখন আপনাদের সহানূভূতি কোথায় ছিল? কাজেই হত্যাকারীর চোখে কান্না মানায় না ফখরুল সাহেব’।
 
সম্প্রতি এক অনুষ্ঠানে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর তার এক কর্মী মামলার ভয়ে ঢাকায় এসে রিকশা চালায় বলে কান্নায় ভেঙে পড়েন।


 
তার প্রতিক্রিয়ায় শুক্রবার (২৬ আগস্ট) জাতীয় প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক শোকসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ ওইসব কথা বলেন।
 
১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে রচনা প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণী পূর্ব স্মরণসভার আয়োজন করে বঙ্গবন্ধু শিক্ষা ও গবেষণা পরিষদ।
 
ফখরুলকে উদ্দেশ্য করে হানিফ বলেন, যারা রিকশা চালায় তারা কি মানুষ না? তারা কি জীবজন্তু? যারা রিকশা চালায় তাদের প্রতি কেন আপনার মায়া নেই? আপনার কর্মী মামলার ভয়ে ঢাকায় এসে রিকশা চালায় বলে এতো দরদ আপনার! যখন পেট্রোল বোমা মেরে আপনার কর্মীরা নিরীহ মানুষদের, গাড়ি চালকদের হত্যা করেছে, তখন আপনার মায়া লাগেনি?
 
তিনি আরো বলেন, বিএনপির চোখে অশ্রু মানায় না। খুনির দল, হত্যাকারীর দল বিএনপি। তাই হত্যাকারীর চোখে কান্না মানায় না ফখরুল সাহেব।
 
২০০১ সালে আপনারা ক্ষমতায় আসার পর আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের ওপর আপনার দলের নেতাকর্মীরা অমানুষিক নির্য‍াতন করেছে। আপনি তো তখন মন্ত্রী ছিলেন। কই তখন তো আপনার সহানুভূতি দেখিনি! বরং আপনারা উল্লাস করেছেন। নির্বিচারে মানুষ হত্যার সময় কোথায় ছিলো আপনার বিবেক- এমন প্রশ্নও রাখেন এই আওয়ামী লীগ নেতা।
 
 
হানিফ বলেন, বঙ্গবন্ধু হত্যাকারীদের বিচার হয়েছে। কিন্তু নেপথ্য কুশীলব, ষড়যন্ত্রকারী জিয়াউর রহমানের বিচার হয়নি। তাই ষড়যন্ত্রকারীদের মুখোশ উন্মোচন করতে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে জিয়াউর রহমানের মরণোত্তর বিচার দাবি জানাচ্ছি।
 
তিনি বলেন, মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে প্রতিষ্ঠিত করেই বিভেদ দূর করতে হবে। যারা স্বাধীনতা যুদ্ধ থেকে শুরু করে এখনও পাকিস্তানের এজেন্ট হিসেবে কাজ করছে, তাদের রাজনীতি করতে দেওয়ার সুযোগ ফুরিয়ে এসেছে। কাজেই তাদের বিতাড়িত করতে না পারলে বিভক্তি রয়েই যাবে।
 
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক’র সভাপতিত্বে সভায় অন্যদের মাঝে উপস্থিত ছিলেন- খাদ্যমন্ত্রী অ্যাডভোকেট মো. কামরুল ইসলাম, আয়োজক সংগঠনের সভাপতি মণ্ডলীর সদস্য অ্যাডভোকেট আব্দুল বাসেত মজুমদার, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অশোক তরু প্রমুখ।
 
বাংলাদেশ সময়: ১৩১৪ ঘণ্টা, আগস্ট ২৬, ২০১৬
ইইউডি/বিএস

 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।