ঢাকা, মঙ্গলবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

‘জিয়া আইএসআই এজেন্ট হিসেবে মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিয়েছিলেন’

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪১৬ ঘণ্টা, আগস্ট ২৬, ২০১৬
‘জিয়া আইএসআই এজেন্ট হিসেবে মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিয়েছিলেন’ ছবি: জিএম মুজিবুর- বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

ঢাকা: খাদ্যমন্ত্রী অ্যাডভোকেট মো. কামরুল ইসলাম বলেছেন, বিএনপি প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই (ইন্টার সার্ভিসেস ইন্টিলিজেন্স) এজেন্ট হিসেবে মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিয়েছিলেন। যে কারণে তাকে সেক্টর কমান্ডার পদ থেকে তুলে নেওয়াও হয়েছিল।

শুক্রবার (২৬ আগস্ট) জাতীয় প্রেসক্লাব মিলনায়তনে আয়োজিত এক স্মরণসভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে রচনা প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণ পূর্ব এ স্মরণসভার আয়োজন করে বঙ্গবন্ধু শিক্ষা ও গবেষণা পরিষদ।

কামরুল ইসলাম বলেন, আমি একজন আইনজীবী হিসেবে জানি, বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলার সাক্ষীরা জবানবন্দি দিয়েছেন, যে জিয়াউর রহমান বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডে প্রত্যক্ষ পৃষ্ঠপোষকতা করেছেন। তিনি ছিলেন মূল কুশীলব। তদন্তেও এসব ওঠে এসেছে।

খাদ্যমন্ত্রী বলেন, জিয়াউর রহমান পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই এর এজেন্ট হিসেবে মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিয়েছিলেন। বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারী কর্ণেল ফারুকও আইএসআই এর এজেন্ট হিসেবে মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিয়েছিলেন। জিয়াউর রহমানকে তার কর্মকাণ্ডের জন্য যুদ্ধের সময়ই সেক্টর কমান্ডার পদ থেকে সরানো হয়েছিল।

তিনি বলেন, একজন প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা কখনও স্বাধীনতার সাড়ে তিন বছরের মাথায় জাতির পিতাকে হত্যা করতে পারেন না। প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধার আদর্শ কখনো এমন হয় না।

কামরুল ইসলাম বলেন, তারেক রহমান চরিত্রেও ভিন্ন কিছু নেই। তারা আইএসআই এর এজেন্ডাকে এড়িয়ে নিচ্ছেন। এজন্যই ১৯৭১, ১৯৭৫ ও ২০০৪ সালের হত্যাকাণ্ড একই সূত্রে গাঁথা। ২০০৪ সালের গ্রেনেড হামলা যদি শেখ হাসিনা নিহত হতেন, তবে ওই দিনটিতে তারেক জিয়াও জন্মদিন পালন করতেন।

তিনি বলেন, বিএনপিতে অনেক মুক্তিযোদ্ধা রয়েছেন, অনেক ভালো মানুষও আছেন। কিন্তু এই দলের মূল নেতৃত্বে রয়েছেন আইএসআই এর এজেন্টরা। এদের থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। এই নেতৃত্বকে ছুঁড়ে ফেলতে হবে। তবেই আপনাদের কান্না বন্ধ হবে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক’র সভাপতিত্বে সভায় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ, আয়োজক সংগঠনের সভাপতিমণ্ডলির সদস্য অ্যাডভোকেট আব্দুল বাসেত মজুমদার, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অশোক তরু প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ১৪০৯ ঘণ্টা, আগস্ট ২৬, ২০১৬
ইইউডি/বিএস

**
‘হত্যাকারীদের চোখে কান্না মানায় না ফখরুল সাহেব’

 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।