মৎস্য ভবন মোড় থেকে: সিলেটের সীমান্তবর্তী জকিগঞ্জ থেকে আওয়ামী লীগের জাতীয় কাউন্সিলে যোগ দিতে এসেছেন স্থানীয় নেতা ফারুক আহমদ। তার সঙ্গে এসেছেন জকিগঞ্জের আরও ১০/১২ জন নেতা-কর্মী।
রোববার (২৩ অক্টোবর) দুপুরে আওয়ামী লীগের ২০তম সম্মেলনে মধ্যাহ্ন বিরতির সময় মৎস্য ভবন মোড় থেকে সম্মেলনস্থলের দিকে হেঁটে যাচ্ছিলেন। তখনই কথা হয় তার সঙ্গে।
ছাত্রাবস্থায় রাজনীতিতে পরিচিত হয়ে উঠেছিলেন ফারুক। ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগের মিছিল থেকে জেলে গিয়েছিলেন। দলের সেই দুঃসময়ের এই নেতা দীর্ঘ জেল জীবন শেষেও আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে সক্রিয় ভূমিকায় আছেন।
ফারুক জানান, ২০তম সম্মেলন থেকে নতুন নেতৃত্ব আসবে জেনে আর ইতিহাসের সাক্ষী হতে উপজেলার অনেক নেতা গত কয়েকদিন থেকে ঢাকায় অবস্থান করছেন।
ফারুকসহ বেশকিছু নেতা-কর্মী ফকিরাপুলসহ আশেপাশের হোটেলে রুম খুঁজে না পেয়ে সিলেটের ঢাকাস্থ আওয়ামী লীগ নেতা রমনা এলাকার সিটি করপোরেশনের কাউন্সিলর ফয়জুল মনির আহমদের বাসায় উঠেছেন।
তাদের মতোই সিলেট অঞ্চলের আরও কয়েকশ’ নেতা-কর্মী ফকিরাপুলসহ আশেপাশের হোটেলে রুম খালি না পেয়ে আত্মীয় স্বজন ও পরিচিত রাজনৈতিক নেতাদের বাসায় উঠেছেন।
ফারুক বলেন, আওয়ামী লীগ এমন একটি দল যে দলকে মানুষ প্রাণ দিয়ে ভালোবাসে। দলের সঙ্গে নেতা-কর্মীদের আত্মার সম্পর্ক।
এ কারণে দলের এত বড় আয়োজন কোনোভাবেই মিস করতে চাননি ফারুক আহমদ। ৮৮ সাল থেকে ছাত্রলীগ করা ফারুক আহমদের এরই মধ্যে ২৭ বছরের রাজনৈতিক ক্যারিয়ার পার করেছেন।
‘হাইব্রিড’ নেতাদের হটিয়ে নিবেদিত কর্মীদের কাছের নেতাকে দলে বড় পদে দেওয়ার দাবিও জানান উপজেলা পর্যায়ের এই নেতা।
দলের প্রধান শেখ হাসিনার ভাষণের কথা উল্লেখ করে ফারুক বলেন, দেশে হতদরিদ্রদের তালিকা করার যে নির্দেশ দিয়েছেন। আমরা সেই নিদের্শ নিয়ে ঢাকা থেকে যাচ্ছি।
দলনেতা শেখ হাসিনা যে নেতৃত্ব ঠিক করে দেবেন তাদের অধীনে আওয়ামী লীগের রাজনীতির মাধ্যমে মেহনতি মানুষের কল্যাণে নিজেকে নিযুক্ত রাখারও প্রত্যয় ব্যক্ত করেন ফারুক আহমদ।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৫৪ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৩, ২০১৬
এসএ/এমজেএফ/