রোববার (১৯ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় সংসদ ভবনের আইপিডি কনফারেন্স হলে ‘জলবায়ু অভিঘাত হতে বাংলাদেশের উপকূল সরক্ষা: বর্ষায় সামুগ্রিক জোয়ারের প্লাবন থেকে রক্ষায় করণীয়’ শীর্ষক আলোচলা সভায় এ মন্তব্য করেন তিনি।
কোস্ট ট্রাস্টের সহযোগিতায় পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতির কার্যালয় এ আলোচনা সভার আয়োজন করে।
সভায় হাছান মাহমুদ বলেন, পদ্মা সেতুতে ব্যর্থ হয়ে বিশ্বব্যাংক জলবায়ু নিয়ে ঋণ দিয়ে বাংলাদেশের সঙ্গে ব্যবসা করতে চায়। কিন্তু আমরা ঋণ চাইনা, চাই অনুদান।
কারণ কোনো প্রকার ভূমিকা না থাকলেও বাংলাদেশ জলবায়ু সংকটের অসহায় শিকার। এ সংকটের মধ্য দিয়ে না গেলে প্রতিবছর বাংলাদেশের জিডিপি (সামষ্টিক অভ্যন্তরীণ উৎপাদন) আরও ১ দশমিক ৫ থেকে ২ শতাংশ হতো।
এসময় বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর বক্তব্যে কথা উল্লেখ করে হাছান মাহমুদ বলেন, রিজভী বলেছেন মন্ত্রীরা বিশ্বব্যাংক সম্পর্কে যে ধরনের কথাবার্তা বলছে, তাতে বাংলাদেশের সঙ্গে বিশ্বব্যাংকের সম্পর্ক ক্ষতিগ্রস্ত হবে। তার এ কথা শুনে মনে হয়, তারা যেন বিশ্বব্যাংকের বেতনভূক্ত বা তাদের এ সম্পর্কে কথা বলার দায়িত্ব দিয়েছেন।
এসময় পানি বিশেষজ্ঞ ড. অধ্যাপক আইনুন নিশাদ বলেন, উপকূলের মানুষকে সঙ্গে নিয়েই উপকূল ব্যবস্থাপনা করতে পারলেই বাংলাদেশ রক্ষা পাবে।
পরিবেশ ও বন উপমন্ত্রী আবদুল্লাহ আল ইসলাম জ্যাকব বলেন, জলবায়ু সংকটের জন্য ধনী দেশগুলো দায়ী। তাই, আমরা এ জন্য ভুক্তভোগী হয়ে সহায়তা নয় ক্ষতিপূরণ চাই। তিনি উপকূলের বেড়ি বাঁধগুলোর সংস্কারের দাবি জানান।
সংসদ সদস্য জেবুন্নেসা বেগম বলেন, ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত দক্ষিণাঞ্চলের মানুষ ত্রাণ চায় না, স্থায়ী সমাধান চায়।
আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন- কোস্ট ট্রাস্টের সদস্য নেজা করিম, মুজিবুর হক মনির প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ১৪১০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৯, ২০১৭
কেজেড/ওএইচ/বিএস