ঢাকা, সোমবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

গণতন্ত্রকে ঠিক মতো চলতে দিলে জঙ্গিবাদ থাকবে না

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১০২ ঘণ্টা, মার্চ ২৬, ২০১৭
গণতন্ত্রকে ঠিক মতো চলতে দিলে জঙ্গিবাদ থাকবে না স্বাধীনতা দিবসে বিএনপির ৠালি, ছবি: রানা

ঢাকা: গণতন্ত্রকে ঠিক মতো চলতে দিলে দেশে জঙ্গিবাদ থাকবে না। গণতন্ত্রহীনতার কারণেই দেশে জঙ্গিবাদ মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে। সুতরাং জঙ্গি দমনে সরকারকে এখনই আলোচনায় বসতে হবে। সৃষ্টি করতে হবে এমন এক অবস্থা, যেখানে সব দলের অংশ গ্রহণে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন করা সম্ভব হবে।

রোববার (২৬ মার্চ) মহান স্বাধীনতা দিবসে আয়োজিত র্যালির আগে বিএনপির শীর্ষ নেতারা এসব কথা বলেন।

নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে এ র্যালি বের করা হয়।

ৠালিটি মালিবাগ মোড়ে গিয়ে শেষ হয়।

র্যালির উদ্বোধনকালে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র হচ্ছে। মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে জঙ্গিবাদ। সমগ্র দেশের মানুষ আজ এই জঙ্গিবাদ নিয়ে ভিত সন্ত্রস্ত। সুতরাং এই ভয়াবহ অবস্থা থেকে মুক্তি পেতে হলে সবাইকে সোচ্চার হতে হবে।

গণতন্ত্রকে ঠিক মতো চলতে দিলে জঙ্গিবাদ থাকবে না উল্লেখ করে তিনি বলেন, গণতন্ত্রকে যদি ঠিক মতো চলতে দেওয়া হয়, সরকার যদি জঙ্গিবাদকে রাজনৈতিক ফায়দা লোটার হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার না করে, তাহলে জঙ্গিবাদ মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে পারবে না। এমনিতেই জঙ্গিবাদ  নির্মূল হয়ে যাবে।

আমরা সরকারকে অনুরোধ করবো, এখনই আলোচনার মাধ্যমে এমন একটি অবস্থা সৃষ্টি করুন, যেখানে সব দলের অংশগ্রহণে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন করা সম্ভব হয়- বলেন ফখরুল।

তিনি বলেন, যে স্বপ্ন নিয়ে স্বাধীনতা অর্জন করেছিলাম, গণতন্ত্রহীনতার কারণেই সেই স্বপ্ন আজ ম্লান হয়ে গেছে। এই অবস্থা থেকে মুক্তি পেতে হলে আমাদেরকে জেগে উঠতে হবে। সংগ্রাম করতে হবে, লড়াই করতে হবে। এর কোনো বিকল্প নেই।
 
স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, জঙ্গিবাদ আজ বড় একটা ইস্যু। এই জঙ্গিবাদ রুখতে হলে গণতন্ত্রকে সঠিক পথে হাঁটতে দিতে হবে। গণতন্ত্রহীন সমাজে নানা অশুভ শক্তি মাথাচাড়া দিয়ে ওঠে।
স্বাধীনতা দিবসে বিএনপির ৠালি, ছবি: রানা

তিনি বলেন, যারা বিএনপিকে দুর্বল দল মনে করে টিপ্পনী কাটেন, তারা এসে দেখে যান, কোনো প্রচার-প্রচারণা ছাড়াই লাখ লাখ লোক আজকের র্যালিতে অংশ নিয়েছে। সুতরাং আমরা নির্দ্বিধায় বলতে পারি, জনপ্রিয়তার দিক থেকে বিএনপি এখনো বাংলাদেশের এক নম্বর দল।
 
সভাপতির বক্তব্যে ঢাকা মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক মির্জা আব্বাস বলেন, আজ জঙ্গি জঙ্গি করছেন। জঙ্গি নিয়ে আপনাদের পেরেশানির শেষ নেই। আমাদেরকে মিছিল মিটিং করতে দিন। সভা সমাবেশের উপর থেকে অলিখিত নিষেধাজ্ঞা তুলে নিন, জঙ্গিবাদ এমনিতেই বন্ধ হয়ে যাবে।
 
এদিকে মহান স্বাধীনতা দিবসে বিএনপি আয়োজিত র‌্যালিতে নামে নেতা-কর্মীর ঢল। বিকেল ৩টায় র‌্যালির উদ্বোধনী পর্ব শুরুর অনেক আগেই ঢাকার বিভিন্ন এলাকা থেকে হাজার হাজার নেতাকর্মী নয়াপল্টন কার্যালয়ের সামনে এসে জড়ো হয়।
 
এক সময় ফকিরাপুল মোড় থেকে কাকরাইল মোড় পর্যন্ত লোকে লোকারণ্য হয়ে যায়। তাদের হাতে নানা ধরনের ব্যানার ফেস্টুন ও মুখে স্লোগান।
 
ছোট ছোট দলে বিভক্ত হয়ে কেউ কেউ বাদ্যযন্ত্রের সঙ্গে নেচে-গেয়ে র‌্যালিতে অংশ নেন। ঘোড়ার গাড়ি, টম টম, খোলা ট্রাক ও পিকআপ ভ্যানে ব্যান্ড পার্টিসহ র‌্যালিতে অংশ নেয় মহানগর বিএনপির ছোট ছোট ইউনিট।
 
জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল, যুবদল, মহিলা দল, কৃষকদল, শ্রমিকদল, স্বেচ্ছাসেবক দলসহ বিভিন্ন অংঙ্গ ও সহযোগী সংগঠন নিজ নিজ ইউনিটের ব্যানার, ফেস্টুন, পোস্টার নিয়ে র্যালিতে অংশ নেয়। বহুদিন পর ওপেন প্লেসে র্যালি করার সুযোগ প‍ায় ঢাকা মহানগর বিএনপি।
 
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, মির্জা আব্বাস ছাড়াও র্যালিতে অংশ নেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল আউয়াল মিন্টু, নিতাই রায় চৌধুরী, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, বিএনপি নেতা সালাহউদ্দিন আহমেদ প্রমুখ।
 
ছুটির দিন থাকা সত্বেও র‌্যালির কারণে ফকিরাপুল, বিজয়নগর, কাকারাইল, শান্তিনগর, মালিবাগ, মৌচাক ও রাজারবাগ এলাকায় যানজটের সৃষ্টি হয়। বিশৃঙ্খলা ঠেকাতে বিপুল সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন ছিলো।
 
বাংলাদেশ সময়: ১৬৫৪ ঘণ্টা, মার্চ ২৬, ২০১৭
এজেড/বিএস

 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।