আব্দুল কাদের খাঁন আইনজীবীর মাধ্যমে বুধবার (২৯ মার্চ) দুপুরে গাইবান্ধা অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মইনুল হাসান ইউসুবের আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রত্যাহারের আবেদন করেন তিনি। পরে বিচারক আবেদনটি নথিভুক্ত করার আদেশ দেন।
পুলিশের নির্যাতনে বাধ্য হয়ে তিনি হত্যার দায় স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছিলেন বলে আবেদনে উল্লেখ করা হয়।
ডা. আব্দুল কাদের খাঁনের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মোস্তাফিজুর রহমান জানান, লিটন হত্যার দায় স্বীকার করে আদালতে দেয়া স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি পুলিশের দেয়া বক্তব্য। গ্রেফতারের পর পুলিশ আব্দুল কাদেরকে নির্যাতন করে আদালতে এ জবানবন্দি দিতে বাধ্য করে।
তিনি আরো জানান, স্বেচ্ছায় আব্দুল কাদের আদালতে হত্যার দায় স্বীকার করেননি। এ কারণে জবানবন্দি প্রত্যাহারের জন্য আদালতে আবেদন করলে বিচারক শুনানি শেষে আবেদনটি নথিভুক্ত করার নির্দেশ দেন।
২০১৬ সালের ৩১ ডিসেম্বর সন্ধ্যা ৬টার দিকে সুন্দরগঞ্জ উপজেলার বামনডাঙ্গা ইউনিয়নে শাহবাজ (মাস্টাপাড়া) গ্রামে নিজ বাড়িতে আততায়ীদের গুলিতে নিহত হন এমপি মঞ্জুরুল ইসলাম লিটন। এরপর ২১ ফেব্রুয়ারি বিকেলে বগুড়া জেলা শহরে স্ত্রীর মালিকানাধীন গরীব শাহ ক্লিনিক থেকে আব্দুল কাদের খাঁনকে গ্রেফতার করে জেলা পুলিশের গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) সদস্যরা। ২২ ফেব্রুয়ারি তাকে ১০ দিনের রিমান্ডে নেয় পুলিশ। রিমান্ডে থাকাকালে চতুর্থ দিনের মাথায় আব্দুল কাদের খাঁন আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।
ডা. আব্দুল কাদের খাঁনের বাড়ি সুন্দরগঞ্জ উপজেলার ছাপরহাটি ইউনিয়নের পশ্চিম ছাপরহাটি (খাঁনপাড়া) গ্রামে।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৪৭ ঘণ্টা, মার্চ ২৯, ২০১৭
এসআই