শনিবার (০৫ আগষ্ট) শনিবার সকাল সাড়ে ১১টার দিকে কলেজ ক্যাম্পাসে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
ছাত্রলীগ নেতৃবৃন্দ ও পুলিশ জানায়, ২য় বর্ষের বিজ্ঞান ক্লাস চলাকালীন অবস্থায় সজিব নামে এক শিক্ষার্থী জুলি সিনহা নামে অপর শিক্ষার্থীর উপর কয়েকবার কাগজ দিয়ে ঢিল ছুড়ে মারে।
এনিয়ে ছাত্রলীগের কলেজ সেক্রেটারী হাসান আহমদ বিষয়টি দেখে দিতে উদ্যোগ নেন। হঠাৎ করে সজিবের বড় ভাই খবর পেয়ে কলেজে ঢুকে শিশিরকে বেদড়ক মারধর করে। এসময় একটি ছেলে বিষয়টি ভিডিও করে। কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি আব্দুল হেকিম এগিয়ে এসে ভিডিওটি ডিলেট করার কথা বলাতে শুরু সেক্রেটারী ও সভাপতির বাকবিতন্ডা। বিষয়টি এক পর্যায়ে কলেজের মধ্যে ছড়িয়ে পড়লে উভয় পক্ষের লোকজন জড়ো হয়ে মারামারির প্রস্তুতি নিলে কলেজ কর্তৃপক্ষ পুলিশে খবর দেয়।
কমলগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার (ওসি) নেতৃত্বে একদল পুলিশ সদস্য কলেজে এসে মাইকিং করে ছেলেদের শান্ত করে। সে সময় কলেজের সাধারণ ছাত্র-ছাত্রীদের মাঝে আতংক ছড়িয়ে পড়ে।
কলেজ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক হাসান আহমদ বাংলানিউজকে বলেন, বিষয়টি তিনি শেষ করে দিলেও বাহির থেকে এসে সজিবের বড় ভাই শিশিরকে মারধর করে তার জামা ছিড়ে ফেলেন। সভাপতি এটা বাধা না দিয়ে তাদের সহযোগিতা করেন। তিনি আরও বলেন সভাপতি কলেজে সব সময় ছাত্র শিবির ও ছাত্রদলের ছেলেদের নিয়ে চলাফেরা করেন ও তাদের সহযোগিতা করেন।
কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি আব্দুল হাকিম বাংলানিউজকে বলেন, প্রথমে তার কাছে সজিব বিচার দেন, তিনি এটা শেষ করে দেয়ার আগেই ঘটনা ঘটে। তিনি ছাত্র শিবির ও ছাত্রদলের কর্মীদের সহযোগীতার কথা অস্বীকার করেন। তবে তিনি বলেন সম্পাদক হাসান সব সময় তাকে এড়িয়ে চলেন ও তার সঙ্গে খারাপ আচরণ করেন।
কমলগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বদরুল হাসান ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বাংলানিউজকে বলেন, বহিরাগতদের বিষয়ে কলেজ কর্তৃপক্ষকে অভিযোগ দায়েরের কথা বলেছেন। তিনি বলেন, তাৎক্ষণিকভাবে সভাপতি-সম্পাদককে মিলিয়ে দিয়ে এটা শেষ করে দিয়েছেন। কলেজে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৪০২ ঘণ্টা, আগস্ট ০৫, ২০১৭
বিএস