বুধবার (২৩ আগস্ট) দিনগত রাত আড়াইটার দিকে ইউনিয়নের দাসপাড়ায় এ ঘটনা ঘটে। এসময় ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ পিস্তল, পাইপগান, তিনটি ছুরি, পাঁচটি রড ও গ্রিল কাটার উদ্ধার করা হয়।
নিহত মো. আলম ওই ইউনিয়নের বিপুর গ্রামের আবুল কাশেমের ছেলে। তিনি আলাইয়াপুর ইউনিয়ন যুবদলের যুগ্ম-আহ্বায়ক।
পুলিশ বাংলানিউজকে জানায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বুধবার সন্ধ্যায় অভিযান চালিয়ে একাধিক মামলার আসামি ও ডাকাত আলমকে গ্রেফতার করা হয়। পরে তার দেয়া তথ্যমতে তাকে নিয়ে রাতে অস্ত্র উদ্ধারের জন্য দাসপাড়ায় অভিযান চালায় পুলিশ। এসময় আলমকে ছিনিয়ে নিতে তার সহযোগীরা পুলিশের ওপর এলোপাতাড়ি গুলি ছুড়লে পুলিশও পাল্টা গুলি চালায়। একপর্যায়ে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় গুলিবিদ্ধ হন আলম। গুরুতর অবস্থায় আলমকে উদ্ধার করে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
নিহত ব্যক্তির পরিবারের বরাত দিয়ে আলাইয়াপুর ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মো. মানিক জানান, ২২ আগস্ট সকালে পুলিশ আলমকে বাড়ি থেকে আটক করে। তিনি আলাইয়াপুর ইউনিয়ন যুবদলের যুগ্ম-আহ্বায়ক।
তবে বেগমগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাজেদুর রহমান সাজিদ বাংলানিউজকে জানান, নিহত ডাকাত আলমের বিরুদ্ধে থানায় ১০টি ডাকাতির মামলা রয়েছে। তিনি সন্ত্রাসী জিসান বাহিনীর সক্রিয় সদস্য ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ১০০৫ ঘণ্টা, আগস্ট ২৪, ২০১৭
এসআই