ঢাকা, মঙ্গলবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

সীমান্তে রোহিঙ্গাদের জন্য সেফ জোন হতে পারে না

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৮৫৫ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৬, ২০১৭
সীমান্তে রোহিঙ্গাদের জন্য সেফ জোন হতে পারে না ছবি: সুমন শেখ / বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

ঢাকা: বাংলাদেশের সীমান্তের কাছে রোহিঙ্গাদের জন্য কোনো সেফ জোন হতে পারে না বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। ‘রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে বিশ্ব নেতৃবৃন্দের ভূমিকা’ শীর্ষক এক ছায়া সংসদে তিনি এ মন্তব্য করেন। 

শনিবার (১৬ সেপ্টেম্বর) বিএফডিসিতে ডিবেট ফর ডেমোক্রেসি আয়োজিত এই ছায়া সংসদে স্পিকারের ভূমিকা পালন করেন আয়োজক সংগঠনের চেয়ারম্যান হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ।  

এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন সাবেক প্রধান তথ্য কমিশনার ও রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ জমির।


 
আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, রোহিঙ্গা ইস্যুতে বাংলাদেশ শুরু থেকেই পলিটিক্যাল অবস্থান নেয়নি। বরং প্রথমে অনুপ্রবেশকারীদের ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে। এরপর তাদের সন্ত্রাসী আখ্যা দিয়ে সীমান্তে যৌথ অভিযানের জন্যও মিয়ানমারকে প্রস্তাব দিয়েছে।  

‘এরপর তাদের সহায়তা দিয়েছে সরকার। আবার ফিরিয়ে নেওয়ার জন্যও বলছে, একই সঙ্গে সেফ জোনের কথাও বলছে। কাজেই এটা কন্টাডিক্টরি। ’
 
তিনি বলেন, রোহিঙ্গাদের অনুপ্রবেশ বাংলাদেশের সার্বভৌমত্বের ওপর পরোক্ষভাবে আঘাত। তাই বাংলাদেশের অবস্থান পরিষ্কার করে আন্তর্জাতিকভাবে রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নেওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে। কোনোভাবেই তাদের জন্য বাংলাদেশ সীমান্তে সেফ জোন হতে পারে না।
 
বিএনপির এই নেতা বলেন, প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের আমলে ও খালেদা জিয়ার প্রথম শাসনামলে যে চুক্তির মাধ্যমে রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নেওয়া হয়েছিল, সেখানে তাদের মিয়ানমারের নাগরিক হিসেবেই ফেরত নেওয়া হয়। কাজেই সেই চুক্তির আলোকে ব্যবস্থা নিতে হবে।
 
আন্তর্জাতিকভাবে মিয়ানমারের ওপর চাপ সৃষ্টির প্রতি গুরুত্বারোপ করে সাবেক রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ জমির বলেন, বিশ্ব নেতাদের মাধ্যমে চাপ সৃষ্টি করে রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া দরকার। তাদের মিয়ানমারের নাগরিক হিসেবেই ফিরিয়ে নিতে হবে। একই সঙ্গে তাদের গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার সঙ্গে সম্পৃক্ত করতে হবে। নইলে সেখানে এই সমস্যা থেকেই যাবে।
 
ছায়া সংসদে অংশ নেন বেসরকারি স্টেট ইউনিভার্সিটি ও ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থীরা। এতে তারা সরকারি দল ও বিরোধী দলের ভূমিকায় বিতর্কে অংশ নেন। অনুষ্ঠান শেষে বিতার্কিকদের মাঝে ক্রেস্ট ও সনদপত্র বিতরণ করা হয়।
 
বাংলাদেশ সময়: ১৪৪৮ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৬, ২০১৭
ইইউডি/এমএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।