রোববার (১৭ সেপ্টেম্বর) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।
‘সহায়ক সরকার: নির্বাচন কমিশনের ভুমিকা ও গণতন্ত্রের ভবিষ্যৎ’ শীর্ষক এ আলোচনা সভার আয়োজন করে জাতীয়তাবাদী প্রজন্ম ৭১ কেন্দ্রীয় কমিটি।
রিজভী বলেন, রোহিঙ্গাদের প্রথমে উগ্রবাদী, সন্ত্রাসী সাজানোর চেষ্টা করা হয়েছে। এখন তুরস্ক, ইন্দোনেশিয়াসহ- বিশ্বের বিভিন্ন দেশ যখন রোহিঙ্গাদের সাহায্য করছে, ত্রাণ পাঠাচ্ছে, টাকা পাঠাচ্ছে এবং সমর্থন জানাচ্ছে। তখন কাঁচা টাকার জন্য তাদের গলার সুর নরম, কিন্তু ভেতরে ভেতরে তাদের (আ.লীগের) দলের নেতাকর্মীরা এখনও রোহিঙ্গাদের নিয়ে খারাপ মন্তব্য করছেন।
বিএনপির ২২ ট্রাক ত্রাণ আটকানোর ঘটনা উল্লেখ করে রিজভী বলেন, যে প্রধানমন্ত্রী একটি রাজনৈতিক দলের ২২ ট্রাক ত্রাণ আটকিয়ে দিতে পারে তার মানবতা কি হতে পারে? তার মধ্যে কোনো মমত্ববোধ আছে কিনা তা নিয়ে সন্দেহ আছে। তার এবং সু চির মধ্যে কোনো পার্থক্য নেই।
এ সময় তিনি নির্বাচন কমিশনকে নিয়ে বলেন, প্রধান নির্বাচন কমিশনার প্রধানমন্ত্রীকে ‘সূর্য’ মনে করে তার চারিদিকে পরিক্রমণ করেন। এটা তার ব্রত, এটা তার প্রত্যয়। নির্বাচন অফিসারদের বদলি তাদের পদন্নোতি এসব তিনি একাই করেন। সুতরাং প্রধান নির্বাচন কমিশনের অধীনে কী রকম নির্বাচন হতে পারে তা সহজেই অনুমেয়। অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচন যেমন প্রধান নির্বাচন কমিশন চায় না, তেমনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও চান না।
তিনি বলেন, সরকার চালের বাজার স্থিতিশীল রাখতে পারছে না। দেশে দুর্ভিক্ষের হাতছানি দেখা যাচ্ছে। এই অবৈধ সরকারেরর পতনের জন্য আমাদের সব ভেদাভেদ ভুলে গিয়ে কাঁদে কাঁদ মিলিয়ে কাজ করতে হবে।
আয়োজক সংগঠনের সভাপতি ঢালী আমিনুল ইসলাম রিপনের সভাপতিত্বে এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন, সাবেক এমপি আহসান হাবিব লিংকন, বিএনপির সহ সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুস সালাম আজাদ, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সাধারণ সম্পাদক কাজী আবুল বাশার, জিনাফের সভাপতি লায়ন মিয়া মোহাম্মদ আনোয়ার ও দেশ বাঁচাও মানুষ বাঁচাও আন্দোলনের সভাপতি কে এম রকিবুল ইসলাম রিপন প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ১৪২৯ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৭, ২০১৭
এমএসি/এসএইচ