এতে উভয়পক্ষের ১০জন আহত হয়েছেন। এ ঘটনায় একপক্ষ অপরপক্ষকে দায়ী করেছে।
মঙ্গলবার (১৯ সেপ্টেম্বর) সকাল ১০টার দিকে দুই গ্রুপের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে।
আহতরা হলেন যুবলীগের আমজাদ হোসেন, দ্বীন ইসলাম, ছাত্রলীগের জহির, নাঈম, আবু সিদ্দিক ও আলালকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
অন্যদিকে অবরোধ আহ্বানকারীদের তিনজন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেলেও তাদের নাম জানা যায়নি।
জানা যায়, দলীয় কর্মসূচিতে অংশ নিতে পানছড়ি উপজেলা আওয়ামী লীগের লোকজন গাড়িবহর নিয়ে খাগড়াছড়ি আসছিলো। পথে চেঙ্গী স্কোয়ার এলাকায় অবরোধ আহ্বানকারীদের সঙ্গে কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে তাদের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এতে ১০ জন আহত হয়।
পানছড়ি উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জয়নাথ দেব জানান, আমরা দলীয় লোকজন নিয়ে পানছড়ি থেকে খাগড়াছড়ি যাচ্ছিলাম। পথে চেঙ্গী স্কোয়ার এলাকায় পৌর মেয়র রফিকুল আলমের নেতৃত্বে তার ক্যাডাররা আমাদের উপর হামলা চালায়। এতে আমাদের সাত নেতাকর্মী আহত হন। তাদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
পানছড়ি সদর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান বলেন, আমাদের সাতজন হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন।
এদিকে মহালছড়ি সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রতন কুমার শীল জানান, মহালছড়ি থেকে নেতাকর্মীদের নিয়ে আসার সময় জিরো মাইল এলাকায় মেয়র রফিক নিজে আমাদের কর্মীদের মারধর করেছেন।
এই বিষয়ে খাগড়াছড়ি পৌর মেয়র রফিকুল আলম বলেন, কেউ যদি অবরোধ চ্যালেঞ্জ করে ভঙ্গ করতে চাই তাহলেতো প্রতিরোধের মুখে পরবেই। তবে মারধরের বিষয় নিয়ে তিনি কোনো মন্তব্য করতে রাজী হয়নি।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৫৫ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৯, ২০১৭
এএটি/