ওই স্থগিতাদেশ স্থগিত চেয়ে আপিল বিভাগে আবেদন করেছিলেন রাষ্ট্রপক্ষ।
বৃহস্পতিবার (২১ সেপ্টেম্বর) অবকাশকালীন চেম্বার বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী ‘নো অর্ডার’ আদেশ দেন।
রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মোতাহার হোসেন সাজু। ফখরুলের পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট নিতাই রায় চৌধুরী।
গত ২৩ আগস্ট বিচারপতি মো. মিফতাহ উদ্দিন চৌধুরী ও বিচারপতি এএনএম বসির উল্লাহ’র হাইকোর্ট বেঞ্চ রুলসহ স্থগিতাদেশ দেন।
ওইদিন আদালতে ফখরুলের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী জয়নুল আবেদীন। সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী সগীর হোসেন লিয়ন।
পরে সগীর হোসেন লিয়ন বলেন, মামলা বাতিলে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। এ রুলের নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত মামলার কার্যক্রমের ওপর স্থগিতাদেশ দিয়েছেন।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, ২০১৪ সালের ২৪ আগস্ট বিএনপির নয়াপল্টনে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, আওয়ামী লীগের সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ‘খুনি’ ও তার দল আওয়ামী লীগ ‘খুনির দল’।
মামলায় আরও বলা হয়, ফখরুল ইসলাম অভিযোগ করে বলেন, ‘খুনি’ আওয়ামী লীগের সভানেত্রী নিজে। তার দল ‘খুনির দল’। শত শত তরুণ যুবকের রক্তে তার হাত রঞ্জিত। আওয়ামী লীগ সরকার ও পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর মধ্যে কোনও পার্থক্য নেই’।
এ সব বক্তব্য গণমাধ্যমে প্রকাশিত হলে ২০১৪ সালের ০১ সেপ্টেম্বর আওয়ামী মৎস্যজীবী লীগের সহ সভাপতি এস এম নূর-ই-আলম সিদ্দিক ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতে মানহানির মামলাটি দায়ের করেন।
গত ০৯ জুলাই অভিযোগ (চার্জ) গঠন করে এ মামলার বিচার শুরু করেন আদালত। এরপর মামলা বাতিলে হাইকোর্টে আবেদন জানান মির্জা ফখরুল।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৪০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২১, ২০১৭
ইএস/এএসআর