ঢাকা, মঙ্গলবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

‘বৈঠকের পর রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নেওয়া অনিশ্চিত’

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২৩০ ঘণ্টা, অক্টোবর ২, ২০১৭
‘বৈঠকের পর রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নেওয়া অনিশ্চিত’ বক্তব্য রাখছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর

ঢাকা: ‘বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে মিয়ানমারের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বৈঠকে 'জয়েন ওয়ার্কিং কমিটি'র মাধ্যমে কাজ করার সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে আমরা জানতে পেরেছি। এরই মধ্য দিয়ে রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নেওয়ার বিষয়টি একদম অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে।’

সোমবার (২ অক্টোবর) রাজধানীর সেগুনবাগিচায় কচিকাঁচা মিলনায়তনে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী সাংস্কৃতিক সংস্থা (জাসাস) আয়োজিত রোহিঙ্গাদের উপর আলোকচিত্র ও ভিডিওচিত্র প্রদর্শনী অনুষ্ঠানে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর একথা বলেন।  

ফখরুল বলেন, জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে তিন তিনবার বৈঠক করার পরেও রোহিঙ্গাদের ব্যাপারে তারা কোনো সিদ্ধান্তে আসতে পারেনি।

এর কারণ হচ্ছে বিশ্বের দু’টি দেশ যাদের নিরাপত্তা পরিষদে ভেটো দেওয়ার ক্ষমতা রয়েছে (চীন ও রাশিয়া), তারা একমত হতে পারেনি। ফলে বিষয়টি সম্পূর্ণভাবে অনিশ্চিত হয়ে গেছে।  

মিয়ানমারের নেত্রী, যাকে গণতন্ত্রের মানসপুত্র হিসেবে সারা বিশ্ব গর্ববোধ করতো তার দেশেই আজ এ ঘটনা ঘটছে জানিয়ে বলেন, তিনি (সু চি) এখন ইমপার্টিসেপ হিসেবে ক্ষমতায় রয়েছেন। তিনি টিম পাঠিয়েছেন বাংলাদেশে। সেই টিমের নেতৃত্ব দিচ্ছেন তারই দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী। বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে তার বৈঠক হয়েছে। সেই বৈঠকে 'জয়েন্ট ওয়ার্কিং কমিটি'র মাধ্যমে কাজ করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। গণমাধ্যমের কাছে খবর এসেছে মিয়ানমারের পররাষ্ট্রমমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নেওয়ার ব্যাপারে।  

‘পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, মিয়ানমারকে রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নেওয়ার কথা বলা হয়েছে। আমরা সম্মত হয়েছি। জয়েন্ট ওয়ার্কিং কমিটির কাজ কি হবে আমরা তা নির্ধারণ করবো, মিয়ানমারও তাদের কাজ নির্ধারণ করবে। সম্মত হয়েছে আমাদের সঙ্গে। ’ 

ফখরুল বলেন, এই এরই মধ্য দিয়ে প্রমাণিত হয় বাংলাদেশ সরকার রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে সম্পূর্ণরূপে ব্যর্থ হয়েছে। সরকার আন্তর্জাতিক কমিউনিটিকে বোঝাতে ব্যর্থ হয়েছে। সরকার ব্যর্থ হয়েছে মানবতার কি নির্মম পরিহাস সেখানে হয়েছে তা বোঝাতে। বাংলাদেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্বের উপর, অর্থনীতির উপর, পরিবেশের উপর, সমাজের উপর এর কি বৈরী প্রভাব পড়বে সেটা বোঝাতে পারেনি সরকার।

তিনি বলেন, জাতির উপর যে চরম বিপর্যয় নেমে এসেছে তা মোকাবেলায় একটা জাতীয় ঐক্যের প্রয়োজন ছিল, সেটা এখনও পর্যন্ত সরকার করছে না। তাই অবিলম্বে এই জাতীয় সংকট নিরসনে জাতীয় কনভেনশন ডাকুন। সবাইকে ঐক্যবদ্ধ করে সমস্যার সমাধান করুন।  

এসময় উপস্থিত ছিলেন জাসাসের সভাপতি মামুন আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক হেলাল খান, সা স সানাউল্লাহ হক, সহ সভাপতি হাসান চৌধুরী, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন প্রমুখ।  

বাংলাদেশ সময়: ১২০ ঘণ্টা, অক্টোবর ০২, ২০১৭
এএম/এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।