বিমানবন্দর থেকে গণভবন পর্যন্ত সড়কের দুই পাশে নেতা-কর্মীদের শনিবার (অক্টোবর ০৭) সকাল সাড়ে আটটার মধ্যে অবস্থান নিশ্চিত করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। এ জন্য সংগঠন গুলোকে এলাকাও নির্ধারণ করে দেয়া হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যে প্রায় তিন সপ্তাহের সফর শেষে শনিবার (০৭ অক্টোবর) সকাল ৯টা ২০ মিনিটে ঢাকায় পৌঁছাবেন প্রধানমন্ত্রী।
রোহিঙ্গা শরণার্থীদের বাংলাদেশে আশ্রয় দেওয়া, জাতিসংঘ অধিবেশনে অংশ নিয়ে মিয়ানমারে রোহিঙ্গাদের ওপর নিপীড়ন বন্ধে আন্তর্জাতিক জনমত সৃষ্টি, রোহিঙ্গা ইস্যুতে মানবিক ভূমিকার জন্য আন্তর্জাতিক মহলে প্রশংসিত হওয়ায় এবং বাংলাদেশের সার্বিক উন্নয়নে নিরলসভাবে কাজ করে যাওয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে গণসংবর্ধনা দেয়া হচ্ছে বলে আওয়ামী লীগের তরফে জানানো হয়।
আওয়ামী লীগ ও ১৪ দলের শীর্ষ নেতাদের পাশাপাশি বিশিষ্ট ব্যক্তিরা বিমানবন্দরে প্রধানমন্ত্রীকে সংবর্ধনা জানাবেন। শনিবার সকাল ৯টার মধ্যে আওয়ামী লীগ ও ১৪ দলের জ্যেষ্ঠ নেতা এবং বিশিষ্টজনরা বিমানবন্দরের ভিভিআইপি লাউঞ্জে থাকবেন।
বিমানবন্দরের আনুষ্ঠানিকতা শেষে প্রধানমন্ত্রী বিমানবন্দর-খিলক্ষেত-কুড়িল বিশ্বরোড-বনানী-মহাখালী-জাহাঙ্গীর গেট-প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়-বিজয় সরণি সড়ক হয়ে গণভবনে যাবেন। এ সময় বিমানবন্দর থেকে গণভবন পর্যন্ত সড়কের দুই পাশে আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা অবস্থান নেবেন। সংগঠনগুলোকে দাঁড়ানোর জন্য এলাকাও ভাগ করে দেয়া হয়েছে।
যান চলাচলে যাতে বিঘ্ন সৃষ্টি না হয় সেজন্য সবাইকে ফুটপাতে দাঁড়ানোর নির্দেশ দেয়া হয়েছে আওয়ামী লীগ কার্যালয় থেকে।
জাতিসংঘের ৭২তম সাধারণ অধিবেশনে যোগ দিতে গত ১৬ সেপ্টেম্বর যুক্তরাষ্ট্র সফরে যান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ১৭ সেপ্টেম্বর নিউউয়র্কে পৌঁছান তিনি। জাতিসংঘ সদর দপ্তরে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সভা-সেমিনার ও বৈঠকে অংশগ্রহণের পাশাপাশি ২১ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে যথারীতি বাংলায় বক্তব্য দেন।
সাধারণ অধিবেশনের বক্তব্যে মিয়ানমারের রোহিঙ্গা সংকট মোকাবেলায় বিশ্ব সম্প্রদায়কে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান ও সংকট সমাধানে ৫ দফা প্রস্তাবনা তুলে ধরেন শেখ হাসিনা।
যুক্তরাষ্ট্র সফরকালে জাতিসংঘ অধিবেশনে অংশগ্রহণের পাশাপাশি বিভিন্ন রাষ্ট্র ও সরকার প্রধানসহ বিভিন্ন সংস্থা প্রধানদের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে অংশ নেন প্রধানমন্ত্রী।
জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশন শেষে ২২ সেপ্টেম্বর নিউইয়র্ক থেকে ভার্জিনিয়ায় যান তিনি। সেখানে যাওয়ার পর হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়লে ২৫ সেপ্টেম্বর একটি হাসপাতালে তার পিত্তথলিতে অস্ত্রোপচার হয়। সেখান থেকে শেখ হাসিনা গত ৩ অক্টোবর লন্ডনে যান।
রোহিঙ্গাদের আশ্রয় ও তাদের প্রতি মানবিক আচরণ এবং সংকট সমাধানে বিশ্ব সম্প্রদায়ের দৃষ্টি আকর্ষণে ভূমিকা রেখে ব্যাপক প্রশংসিত হন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
রোহিঙ্গাদের প্রতি মানবিক আচরণের জন্য বৃটিশ মিডিয়া শেখ হাসিনাকে ‘মাদার অব হিউম্যানিটি’ আখ্যা দিয়েছে। সংযুক্ত আরব আমিরাতের (ইউএই) জনপ্রিয় দৈনিক (খালিজ টাইমস) রোহিঙ্গা সংকটের প্রতি মানবিক আবেদনের জন্য বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে উচ্ছ্বসিত প্রশংসা করে তাঁকে প্রাচ্যের নতুন তারকা হিসাবে অভিহিত করেছে।
বাংলাদেশ সময়: ২১৫০ ঘণ্টা, অক্টোবর ০৬, ২০১৭
এমইউএম/আরআই