রোববার (০৮ অক্টোবর) দুপুরে একই সময়ে দু’পক্ষ এসব কর্মসূচি পালন করে।
সরকার সমর্থকরা সমিতির উত্তর হলে সংবাদ সম্মেলন করেন।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সমিতির সহ সভাপতি মো. অজি উল্লাহ। এ সময় উপস্থিত ছিলেন সমিতির সাবেক সভাপতি, বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইনজীবী পরিষদের আহ্বায়ক ও আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য ইউসুফ হোসেন হুমায়ুন এবং আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য ও সাবেক সভাপতি আবদুল বাসেত মজুমদার প্রমুখ।
লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, ‘সভাপতি ও সম্পাদক সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির নামে ভিত্তিহীন বক্তব্য দিয়ে সাংবাদিক সম্মেলন করছেন। আমরা এর তীব্র বিরোধিতা করছি’।
‘রাষ্ট্রের ভিভিআইপি ব্যক্তি হিসেবে প্রধান বিচারপতির জীবনযাপন ও কার্য পরিচালনার জন্য নির্দিষ্ট প্রটেকশন ও প্রটোকল রয়েছে। এটি ভঙ্গ করে তার অনুমতি ছাড়া কোনো ব্যক্তি তার সঙ্গে সাক্ষাৎ বা দেখা করতে পারেন না’।
‘সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির পবিত্র দায়িত্ব হচ্ছে বিচারকার্য পরিচালনা সংক্রান্তে দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতিকে সহায়তা করা। এছাড়া প্রধান বিচারপতির ছুটি সংক্রান্তে কোনোরুপ বিবৃতি ও বক্তব্য কোনোভাবেই কাম্য নয়’।
মানববন্ধনে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ বলেন, ‘বাংলাদেশে আজকের সংকট হলো সংবিধান অনুসারে বিচার বিভাগর স্বাধীনতা থাকবে কি থাকবে না। একটি রায়কে কেন্দ্র করে, যেহেতু এ রায় সরকার পছন্দ করেনি, আজকে সেই রায়ের প্রতিক্রিয়া হিসেবে সরকার ও সরকারি দলের নেতারা যে আচরণ করেছেন তা নজিরবিহীন।
‘কোনো সভ্য দেশে, কোনো গণতান্ত্রিক দেশে, কোনোদিন শুনিনি যে, প্রধান বিচারপতিকে গৃহবন্দি করেছেন প্রথমে। এখনো তিনি সম্পূর্ণভাবে সরকারের নিয়ন্ত্রণে আছেন। সরকারের অনুমোদন ছাড়া কেউ তার সঙ্গে দেখা করতে পারেন না। অর্থাৎ তাদের কি বোঝা যায় তিনি শুধু নজর বন্দি না। তিনি তাদের অধীনে তাদের কাষ্টডিতে সরকারের হেফাজতে এখন আছেন।
মওদুদ আহমদ বলেন, ‘আমাদের আইনজীবী নেতারা তার সঙ্গে দেখা করতে পারেন না। দেশের সাংবাদিকরা দেখা করতে পারেন না। তার আত্মীয়-স্বজনেরা এখনো তার সঙ্গে দেখা করতে পারেননি’।
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ও সমিতির সভাপতি জয়নুল আবেদীন অভিযোগ করে বলেন, ‘আপনাদের বক্তব্যে প্রমাণিত হয়েছে যে, বাংলাদেশের বিচার বিভাগের ওপরে হামলা এসেছে। এ হামলা নগ্ন হামলা, এটি আওয়ামী হামলা। ছুটির আগে আওয়ামী লীগের আইনজীবীরা সরকারের পক্ষ থেকে বলেছিলেন, প্রধান বিচারপতি আপনি যদি রায় বাতিল না করেন, বন্ধের পরে আপনাকে আর বসতে দেওয়া হবে না। এরই প্রতিফলন হিসেবে জোর করে প্রধান বিচারপতিকে ছুটিতে পাঠানো হয়েছে’।
জয়নুল আবেদীন আরও বলেন, ‘এখন শুনছি, তাকে জোর করে বিদেশ পাঠিয়ে দেওয়া হচ্ছে। ১৯৮২ সালে এভাবে কামাল উদ্দিন হোসেনকে বরখাস্ত করেছিল সরকার। আইনজীবীরা আন্দোলন করেছিলেন। আন্দোলন কখনো বৃথা যায়নি। আমাদের আন্দোলনেও সফলতা আসবে’।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৩৯ ঘণ্টা, অক্টোবর ০৮, ২০১৭
ইএস/এএসআর