বৃহস্পতিবার (০২ নভেম্বর) পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে প্রেস ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের কাছে এ দাবি করেন তিনি।
পুলিশ সুপার বলেন, ওই ঘটনায় গ্রেফতার হওয়া নুরের সালাম মিলন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।
গত শনিবারের (২৮ অক্টোবর) মিডিয়ার গাড়িতে হামলার ঘটনায় গণমাধ্যমে প্রকাশিত ছাত্রলীগ-যুবলীগ নেতাকর্মীদের ছবি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, যাচাই-বাছাই করে যারা এ ঘটনায় জড়িত রয়েছেন, তাদের শিগগিরই আইনের আওতায় আনা হবে।
এ ঘটনায় গ্রেফতারকৃত ১৮ জনকে বৃহস্পতিবার (০২ নভেম্বর) বিকালে ফেনী মডেল থানা থেকে ফেনীর জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের আদালতে হাজির করে রিমান্ডের আবেদন জানায় ফেনী মডেল থানা পুলিশ।
বুধবার (০১ নভেম্বর) রাতে বিএনপি ও এর অঙ্গ সংগঠনের ১৩ নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। ফেনী শহরসহ জেলার বিভিন্ন স্থান থেকে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃতদের মধ্যে আছেন সোনাগাজী পৌর বিএনপির সভাপতি আবুল মোবারক দুলাল, ফেনী পৌরসভার সাবেক কমিশনার বাবুল, ফুলগাজী উপজেলা ছাত্রদলের সভাপতি কামাল হোসেন ও শুভপুর ইউনিয়ন যুবদলের সভাপতি আমজাদ হোসেন।
মঙ্গলবার (৩০ অক্টোবর) ঘটনার দিন গ্রেফতার করা হয়েছিল ৬ জনকে।
গ্রেফতারকৃত ৬ জনকে বুধবার কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
গাড়িবহরের পাশে বাসে আগুন দেওয়ার ঘটনায় বুধবার বিকালে ফেনী মডেল থানায় মামলা দায়ের করেছে পুলিশ। ফেনী মডেল থানার এসআই নুরুল ইসলাম বাদী হয়ে ২৯ জনের নাম উল্লেখ করে ৩৫-৪০ জনকে অজ্ঞাত ব্যক্তিকে আসামি করে মামলাটি দায়ের করা হয়।
মামলায় জেলা কৃষকদলের সভাপতি আলমগীর চৌধুরী, জেলা ছাত্রদলের সভাপতি নঈম উল্লাহ চৌধুরী বরাত, সাধারণ সম্পাদক সালাহ উদ্দিন মামুনসহ ছাত্রদল-যুবদলের ২৯ নেতাকর্মীর নাম উল্লেখ করা হয়েছে।
শনিবারের লালপুর ও মোহাম্মদ আলীতে মিডিয়ার গাড়িতে হামলার ঘটনায় কোর্ট পুলিশের পরিদর্শক একেএম নজিবুল ইসলাম বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামাদের আসামি করে মামলা দায়ের করেন।
বাংলাদেশ সময়: ২৩০৯ ঘন্টা, নভেম্বর ০২, ২০১৭
এসএইচডি/এএসআর