তবে জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলার আত্মপক্ষ সমর্থনের বক্তব্য লিখিতভাবে জমা দেওয়ারও নির্দেশ দেন আদালত।
মঙ্গলবার (০৫ ডিসেম্বর) প্রায় তিন ঘণ্টা আত্মপক্ষ সমর্থন করে বক্তব্য দেন খালেদা জিয়া।
এর আগে আত্মসমর্পণের পর জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট ও জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় জামিন পান বিএনপির চেয়ারপারসন। আদালতে খালেদার পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার জমিরউদ্দিন সরকার। দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মোশাররফ হোসেন কাজল।
গত ৩০ নভেম্বর (বৃহস্পতিবার) বামদের ডাকা অর্ধদিবস হরতালের কারণে আদালতে যেতে পারেননি খালেদা জিয়া। পরে তার আইনজীবীরা দুপুর ২টায় হাজির হওয়ার আবেদন করেন। কিন্তু সেই আবেদন নাকচ করে দিয়ে বিচারক ড. মো. আখতারুজ্জামান বিএনপি চেয়ারপারসনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন।
এর আগে টানা ৬ কার্যদিবস আদালতে আত্মপক্ষ সমর্থনে বক্তব্য দেন বিএনপি প্রধান।
২০১০ সালের ০৮ আগস্ট তেজগাঁও থানায় জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্টের নামে অবৈধভাবে ৩ কোটি ১৫ লাখ ৪৩ হাজার টাকা লেনদেনের অভিযোগ এনে এ মামলা দায়ের করা হয়।
এছাড়া জিয়া অরফানেজ ট্রাস্টে দুর্নীতির অভিযোগে ২০০৮ সালের ০৩ জুলাই দুদক রমনা থানায় মামলা করে। এতিমদের সহায়তা করার উদ্দেশ্যে একটি বিদেশি ব্যাংক থেকে আসা ২ কোটি ১০ লাখ ৭১ হাজার ৬৭১ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ আনা হয় এই মামলায়।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৫২ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৫, ২০১৭
ইএস/এমজেএফ