তবে এর বাইরে শক্তভাবে আলোচনায় এসেছে আওয়ামী লীগের কঠিন দুঃসময় শেখ হাসিনা ও দলের প্রশ্নে আনুগত্যের পরীক্ষায় বারবার উত্তীর্ণ আলাউদ্দিন আহমেদ চৌধুরী নাসিমের নাম।
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের উপনির্বাচনে মেয়র প্রার্থী হিসেবে আলাউদ্দিন আহমেদ চৌধুরীর ভোট করার খবরে দলের ভিতরে চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগের সভাপতি ও কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য আলাউদ্দিন নাসিম বিসিএস প্রশাসন সার্ভিসে ৮৬ সালে যোগ দেন। ৯৬ সালে তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রটোকল অফিসার হিসেবে নিযুক্ত হয়ে ২০০১ সাল পর্যন্ত এ দায়িত্ব পালন করেন। ২০০১ সালের পর সংসদে বিরোধীদলীয় নেতা শেখ হাসিনার এপিএস হিসেবে তিনি কাজ শুরু করেন। এই দায়িত্বে তিনি ২০০৮ সালের নির্বাচন পর্যন্ত ছিলেন। ওয়ান-ইলেভেনের সময় তার সাহসী ভূমিকা ছিল প্রশংসিত। শেখ হাসিনার সঙ্গে তার শক্ত ও সাহসী অবস্থান তখন প্রশংসিত ছিল নেতা-কর্মীদের কাছে।
অন্যদিকে সংস্কারপন্থী নেতারা তার ওপর ক্ষুব্ধ ছিলেন। ২০০৯ সালে উপসচিব হিসেবে তিনি প্রশাসন ক্যাডার থেকে পদত্যাগ করে অবসরে যান। বর্তমানে তার পেশা ব্যবসা।
বিগত নারায়ণগঞ্জ, গাজীপুর ও চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচনে দলের সমন্বয়কারী হিসেবে তিনি দায়িত্ব পালন করেন। আওয়ামী লীগ সভানেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাকে এই দায়িত্ব দেন। ২০১২ সালে তিনি আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য হন। সার্বজনীন ভাবমূর্তির অধিকারী নাসিম ওয়ান-ইলেভেনসহ দলের সব দুঃসময়ে অবিচলভাবে দলীয় সভানেত্রীর পাশে থাকা মানুষ। দলের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে যেমন তার নিবিড় সম্পর্ক, তেমনি সমাজের বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার মানুষের সঙ্গেও তার গভীর সামাজিক হৃদ্যতা রয়েছে। বিএনপির প্রার্থী তাবিথ আউয়াল হলে নাসিমের জন্মজেলা অভিন্ন। মরহুম মেয়র আনিসুল হকের পৈতৃক বাড়িও সেখানে। ঢাকা উত্তরে নোয়াখালীর ভোট ব্যাংকেও এদের রয়েছে প্রভাব। সেক্ষেত্রে প্রার্থী বিবেচনায় জোর আলোচনায় রয়েছেন আলাউদ্দিন আহমেদ চৌধুরী নাসিম।
বাংলাদেশ সময়: ০৯১৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৬, ২০১৭
আরআই