জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মোরশেদ হোসাইন তানিম বলেন, কলেজ প্রশাসনের সঙ্গে ছাত্রলীগ ও সাধারণ শিক্ষার্থীদের মধ্যকার সৃষ্ট ঘটনা নিয়ে সঠিক তথ্য উদঘাটনে মঙ্গলবার (২০ মার্চ) কলেজ কমিটির কার্যক্রম স্থগিত করা হয়েছে।
তিনি জানান, ঘটনার তদন্তে জেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি ইসমাইল সাজ্জাদকে প্রধান করে ছয় সদস্যবিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
কক্সবাজার জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ইশতিয়াক আহমেদ জয় বলেন, কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ নির্দেশনা দিয়েছে কলেজের শান্তিপূর্ণ পরিবেশ ফিরিয়ে নেওয়ার। তাই সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে কলেজ কমিটি স্থগিত করা হয়েছে।
তদন্ত কমিটিকে ৭২ ঘণ্টার মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
জানা গেছে, কলেজ প্রশাসনকে না জানিয়ে কলেজের পূর্বপাশে বিরোধপূর্ণ জমিতে সড়ক নির্মাণ নিয়ে গত কয়েকদিন ধরে ঝামেলা চলছে। এ বিষয়ে প্রশাসনকে লিখিত জানায় কলেজ প্রশাসন। সাধারণ ও পুরাতন শিক্ষার্থী এবং সচেতন নাগরিক সমাজ এ নিয়ে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সামনে মানববন্ধন করে। এরপরই দ্বিতীয় সড়ক নির্মাণের কাজ স্থগিত করে উপজেলা প্রশাসন। এতে বিরোধপূর্ণ জমিটি দখলে নিতে ভাড়ায় সড়ক নির্মাণকারী সেই জায়গায় মাটি ফেলছিল। খবর পেয়ে সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. নোমান হোসেন অভিযান চালিয়ে মাটি ফেলার সময় চারজনকে আটক করে সাজা দেন। এ নিয়ে বহিরাগত ও ছাত্রলীগ নামধারী কিছু শিক্ষার্থী কলেজে বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি তৈরি করে। তারা প্রশাসনিক গেটে তালা ঝুলিয়ে অধ্যক্ষসহ শিক্ষকদের অবরুদ্ধ করে। পরে পুলিশ ক্যাম্পাসে এসে তালা ভেঙে তাদের উদ্ধার করে।
এর আগের দিন ১৭ মার্চ জাতীয় শিশু দিবসের একটি অনুষ্ঠানে কলেজের জমি দখল বিষয়ে কথা বলায় ছাত্রলীগের হাতে লাঞ্ছিত হন জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক নাজনীন সরোয়ার কাবেরী। এ ঘটনায় তিনি সংবাদ সম্মেলন করেন। পরে কলেজ ছাত্রলীগও কাবেরীর বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন করে। অনেক জলঘোলা করে অবশেষে কলেজ ছাত্রলীগের কমিটির কার্যক্রম স্থগিত করেছে জেলা ছাত্রলীগ।
বাংলাদেশ সময়: ০৪২৩ ঘণ্টা, মার্চ ২১, ২০১৮
টিটি/আরআর