বৃহস্পতিবার (২৯ মার্চ) সকালে শহরের কদমতলী এলাকায় একটি কমিউনিটি সেন্টারে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এতে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন জেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি আমির হোসেন।
এসময় উপস্থিত ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা নুরন্নবী চৌধুরী, সিনিয়র সহ-সভাপতি রণ বিক্রম ত্রিপুরা, কল্যাণ মিত্র বড়ুয়া, মনির হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক মংক্যাচিং চৌধুরী, যুব ও ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক মংসুইপ্রু চৌধুরী অপু, জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি টেকো চাকমা, রাসেলের বাবা নুর হোসেন মা মাজেদা বেগম ও বোন নুর বানু।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, রাসেল হত্যা মামলার প্রধান আসামি পৌর মেয়র রফিকুল আলম, ছোট ভাই দিদারুল আলমকে এখনও গ্রেফতার করা হয়নি। উল্টো প্রকাশ্যে প্রশাসনের সহযোগিতায় তারা ঘুরে বেড়াচ্ছে। একের পর এক আওয়ামী লীগ পরিবার, সাংবাদিকসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের উপর হুমকি, হামলা, মামলা, নির্যাতন চালিয়ে গেলেও প্রশাসন কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না।
সংবাদ সম্মেলনে নিহত রাসেলের বাবা নুর হোসেন অভিযোগ করেন, রাসেল হত্যার পর মামলা করলে মেয়র রফিকুল আলম তাদের বাসায় হত্যার হুমকি দিয়েছেন। এর আগে ২০১৭ সালের ২ নভেম্বর মেয়র রফিকুলের অনুসারীরা বাসায় ভাঙচুর ও হামলা চালায়। তখন মাজেদা বেগমকে সন্ত্রাসীরা কুপিয়ে জখম করে বলে অভিযোগ করা হয়। এ ঘটনায় সদর থানায় মামলা করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে অবিলম্বে আসামিদের গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানানো হয়। অন্যথায় কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করার হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়।
গত ২৪ মার্চ জেলা শহরের মিলনপুর ব্রিজ এলাকায় ওয়ার্ড ছাত্রলীগ কর্মী মো. রাসেল শেখকে (১৭) ছুরিকাঘাত করে আহত করা হয়। তাকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় চট্টগ্রাম মেডিকেলে নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় রাসেলের মা মাজেদা বেগম মেয়র রফিকুল আলম, তার ছোট ভাই জেলা আওয়ামী লীগের শিক্ষা ও মানবসম্পদ বিষয়ক সম্পাদক দিদারুল আলমসহ ১৯ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা করেন। ইতোমধ্যে ওই মামলায় তিনজনকে আটক করে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৫২৫ ঘণ্টা, মার্চ ২৯, ২০১৮
আরআর