সোমবার (৮ অক্টোবর) দুপুরে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়। এর আগে সকালে এ ঘটনা ঘটে।
শাকিল উপজেলার আলকরা ইউনিয়নের কুলাসার গ্রামের ছালেহ আহমদের ছেলে। তিনি সাবেক যুবলীগ নেতা জামাল উদ্দিন (বাক্কা জামাল) হত্যা মামলার স্বাক্ষী।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সকালে পদুয়া রাস্তার মাথায় কুমিল্লা যাওয়ার উদ্দেশে বাসে উঠে শাকিল। এ সময় জামাল হত্যা মামলার প্রধান আসামি সাবেক ইউপি ইসমাইল হোসেন বাচ্চুর ভাতিজা ও একই মামলার অপর আসামি রহমানের নেতৃত্বে হত্যা মামলার আসামি আমির, শুভ, রিয়াজ, কপিল ও স্থানীয় সন্ত্রাসী বাহাদুর ও ইকবালসহ ৮/১০ জনের একটি সন্ত্রাসী গ্রুপ শাকিলকে বাস থেকে নামিয়ে মাইক্রোবাসে করে অপহরণ করে পার্শ্ববর্তী ফেনী জেলার শর্শদী দিঘীর পূর্বপাড়ে নিয়ে যায়। এ সময় সন্ত্রাসীরা তাকে রড ও হাতুড়ি দিয়ে এলোপাতাড়ি পিটিয়ে দুই পা থেতলে দেয় এবং মৃত ভেবে ফেলে রেখে যায়। সন্ত্রাসীরা চলে গেলে স্থানীয় লোকজন তাকে উদ্ধার করে প্রথমে ফেনী সদর হাসপাতাল ও পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়।
স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান গোলাম ফারুক হেলাল জানান, সকালে শাকিলকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়।
আলকরা ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান ইসমাইল হোসেন বাচ্চু বলেন, আমি সকালে একটি মামলায় হাজিরা দিতে কুমিল্লায় চলে আসি। হাজিরা শেষে দুপুরে ঢাকার উদ্দেশে রওয়ানা হই। শুনেছি ছাত্রলীগের এক ছেলেকে প্রতিপক্ষের লোকজন মারধর করেছে। আমাকে ফাঁসানোর জন্য স্বার্থান্বেষী মহল ষড়যন্ত্র করছে বলেও তিনি দাবি করেন।
চৌদ্দগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল্লাহ আল মাহফুজ জানান, হত্যাকাণ্ডটি নিয়ে তদন্ত চলছে। বিস্তারিত পরে জানানো হবে।
এ বিষয়ে চৌদ্দগ্রাম ও নাঙ্গলকোট সার্কেলের সিনিয়র সহকারি পুলিশ সুপার সাইফুল ইসলাম সাইফ বলেন, আমরা এখনও ঘটনাটি সম্পর্কে সঠিকভাবে অবগত হইনি। বিস্তারিত জেনে পরে জানানো হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৭২৩ ঘণ্টা, অক্টোবর ০৮, ২০১৮
আরবি/