তিনি বলেছেন, যারা ক্রাইম করবে না, তাদের কোনো ভয় নেই। দুষ্টের শাসন ও শিষ্টের পালন করতেই এই ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন।
সোমবার (০৮ অক্টোবর) রাজধানীর ফার্মগেটে কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে আওয়ামী লীগের শিল্প বিষয়ক উপ-কমিটির সঙ্গে এক মতবিনিময় সভা শেষে ওবায়দুল কাদের সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে এসব কথা বলেন।
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, এই আইনটা কেন করা হয়েছে, আপনাদের মনে আছে? গুজব সন্ত্রাস; লাইভে এসে এক মহিলা কালো কাপড়ে ঢাকা…। পরে এক নায়িকা ধরাও পড়েছে, এসব নাটক সাজিয়েছে।
‘এই কাজটি বিএনপি করে যাচ্ছে। আওয়ামী লীগ অফিসে হামলা চালানোর পর এই পোস্টগুলো তারা করে যাচ্ছে। দেশে একটি সরকার আছে, তারপরও কি সব এভাবেই চলতে থাকবে? যারা ক্রাইম করছে না, তাদের কোনো ভয় নেই। প্রধানমন্ত্রীও পরিষ্কারভাবে বলেছেন। ’
এ সময় বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের বক্তব্য প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন, ডিজিটাল ক্রাইমের বিরুদ্ধে ডিজিটাল সিকিউরিটি কি থাকবে না? অরাজকতা আর এক দলীয় শাসন- এটাও অপপ্রচার। শালীনতা বলতে এ দলের (বিএনপি) কিছু নেই।
‘নয়াপল্টনের অফিসে বসে প্রাইম মিনিস্টার থেকে শুরু করে আমাদের সকল নেতাদের বিরুদ্ধে অশ্রাব্য ভাষায় কথা বলে তারা। তারপরেও তো তাকে গ্রেপ্তার করা হয়নি। ’
তিনি বলেন, সরকার কিছুই করবে না? সরকার কি ঘরে বসে ডুগডুগি বাজাবে? এসবের কোনো জবাব থাকবে না! জনগণের জানমালের নিরাপত্তা কি আমরা নিশ্চিত করবো না?
বিএনপি ও জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়ার আন্দোলনের ঘোষণা প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন, এই জগাখিচুড়ি ঐক্যের কোনো ভবিষ্যত নেই। ১০ বছরে যারা ১০ মিনিট রাস্তায় দাঁড়াতে পারে না, এখন এক মাসে কি কাঁধে উঠবে!
বিএনপি নেতা মওদুদ আহমদকে উদ্দেশ্য করে আওয়ামী লীগ ওবায়দুল কাদের বলেন, মওদুদ সাহেব তো আগস্ট থেকে বলছেন- এক মাসে চেহারা পরিবর্তন করে ফেলবেন। কয় মাস গেলো?
‘আর আপনি ক্ষমতার পরিবর্তন বলছেন তো, নির্বাচন ছাড়া এদেশে ক্ষমতার পরিবর্তন হবে না, ইনশাল্লাহ। স্বপ্ন দেখতে পারেন, ক্ষমতা হারিয়েছেন। ময়ুর সিংহাসনের ওই স্বপ্ন আবারও দেখতে পারেন। অক্টোবর গেলে টের পাবেন রঙিন খোয়াব কর্পূরের মতো উড়ে যাবে,’ যোগ করেন কাদের।
সড়ক পরিবহন আইনের বিরুদ্ধে পরিবহন ধর্মঘট প্রত্যাহারের আহ্বান জানিয়ে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, তিন বছর আমরা সময় নিয়েছি, স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে আলাপ আলোচনা করে আইনটি আমরা পাস করেছি। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে আমি বলেছি এটা সদ্য প্রণীত একটি আইন; যদি বিধি প্রণয়ণ করা যায়, বিধি প্রণয়ন করে তাদের জন্য কোনো সুযোগ সৃষ্টি করা যায় তাহলে আমরা করবো।
‘বর্তমান সরকার শ্রমিকবান্ধব সরকার। আমরা তো সাধারণ মানুষের পেটে লাথি মারার সরকার না। তাদের (শ্রমিক) সুবিধা ও অসুবিধাগুলো আমরা সময় মতো দেখবো। তবে তাদের ধর্মঘটটা এখন প্রত্যাহার করতে হবে। ধর্মঘট প্রত্যাহার করুক, তারপর আইনে তাদের জন্য কোনো বিধি-বিধান করা যায় কিনা দেখবো। ’
বাংলাদেশ সময়: ২১০৪ ঘণ্টা, অক্টোবর ০৮, ২০১৮
এসকে/এমএ