রোববার (১৪ অক্টোবর) বেলা সাড়ে ১১টায় নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ মন্তব্য করেন।
রিজভী বলেন, সাধারণ মানুষের কাছে ভাবমূর্তি নষ্ট ও আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে জোট সরকারকে জঙ্গি সরকার বা তার পৃষ্ঠপোষক প্রমাণ করে ক্ষমতায় আসার জন্য শেখ হাসিনা ও তার সহকর্মীরা উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে এ বোমা হামলা করেছে।
বিএনপির সিনিয়র এ নেতা বলেন, দুই তৃতীয়াংশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে ক্ষমতায় আসা বিএনপির নেতৃত্বাধীন জোট সরকার এমন হঠকারী কাজ করে নিজেদের পাকা ধানে মই দেয়ার মতো নির্বোধ কাজ করবে, এটা পাগলেও বিশ্বাস করবে না। সুতরাং এক ঢিলে কয়েকটা পাখি মারার কাজ নেপথ্যে ও প্রকাশ্যে শেষ করেছে আওয়ামী লীগ। বিএনপি কখনোই আওয়ামী লীগের মতো কূটকৌশল ও নিষ্ঠুরতা শিখতে পারেনি।
রুহুল কবির রিজভী বলেন, একইভাবে ২০০৯ সালে বিডিআর সদর দফতরের (বর্তমানে বিজিবি) পৈশাচিক হত্যাকাণ্ড আওয়ামী সরকারের আমলেই ঘটেছে। এর জন্য কেন আওয়ামী সরকার দায়ী নয়? দরবার হলের এধরনের অনুষ্ঠানে সবসময় প্রধান অতিথি থাকেন প্রধানমন্ত্রী, কিন্তু তিনি কেন সেদিন যাননি? আওয়ামী মন্ত্রী ও নেতারা যথাক্রমে সাহারা খাতুন, জাহাঙ্গীর কবির নানক ও মির্জা আজম প্রকাশ্যে সদর দফতরে ঢুকে ঘাতক বিডিআর সদস্যদের সঙ্গে দেন-দরবার করেছেন। সদর দফতরের বাইরে হত্যাকারী ঘাতকদের নেতা ডিএডি তৌহিদসহ তার সঙ্গীদের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী নিজের সরকারি বাসভবনে বৈঠক করেন। তৎকালীন সেনা প্রধান মঈন ইউ আহমেদ দ্রুত বিডিআর সদর দফতরে সেনাবাহিনী পাঠানোর নির্দেশনা চেয়েছিলেন, কিন্তু বর্তমান ‘অবৈধ সরকার’ সায় দেয়নি। কেন এ বিলম্ব করা হলো? আর এ বিলম্ব না হলে প্রাণ দিতে হতো না অর্ধ শতাধিক চৌকস সেনা কর্মকর্তাকে। এর জন্য কি আওয়ামী সরকার দায়ী নয়? একজন ঊর্ধ্বতন সেনা কর্মকর্তার নেতৃত্বে যে তদন্ত হয়েছিল সেটা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ে জমা দেয়া হলেও কেন তা প্রকাশ করা হয়নি? সে আলোকে কোনো ব্যবস্থাও গ্রহণ করা হয়নি কেন? এগুলোর জবাব একদিন বর্তমান ‘অবৈধ শাসকগোষ্ঠীকে’ দিতে হবে বলে হুঁশিয়ারি দেন বিএনপির এ নেতা।
এসময় তিনি নিখোঁজ ঢাকা মহানগর (পূর্ব) ছাত্রদলের সাংগঠনিক সম্পাদক রবিউল ইসলাম নয়নকে অবিলম্বে জনসম্মুখে হাজির করার জোর দাবি জানান।
বাংলাদেশ সময়: ১৪১৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৪, ২০১৮
টিএম/এসএইচ