বুধবার (২৪ অক্টোবর) বেলা আড়ইটার দিকে হাসপাতালের চিকিৎসকদের তত্ত্বাবধানে তার সিটি স্ক্যান সম্পন্ন হয়। খালেদা জিয়ার চিকিৎসায় গঠিত মেডিকেল বোর্ডের প্রধান অধ্যাপক ডা. আব্দুল জলিল চৌধুরী বিষয়টি বাংলানিউজকে নিশ্চিত করেন।
জানা যায়, খালেদা জিয়ার বুকের সিটি স্ক্যান করা হয়েছে। এটাকে এইচআর সিটি চেস্ট বলা হয়। সাধারণত ফুসফুসে পানি জমেছে কিনা, অ্যাজমা বা হাঁপানি জাতীয় সমস্যা আছে কিনা বা বুকে অন্য কোনো সমস্যা হয়েছে কিনা সেটি নিশ্চিত হওয়ার জন্য এ পরীক্ষা করা হয়। তিনি বুকে ব্যথা অনুভব করায় চিকিৎসকরা তার এইচআর সিটি চেস্ট করার সিদ্ধান্ত নেন।
এ প্রসঙ্গে হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আব্দুল্লাহ আল হারুণ বাংলানিউজকে বলেন, হাসপাতালের চিকিৎসকরা নিয়মিত খালেদা জিয়াকে দেখতে যান। তিনি বুকে ব্যথার কথা বলায় চিকিৎসকরা সিটিস্ক্যান করার সিদ্ধান্ত নেন। তার শারীরিক অবস্থার কোনো অবনতি হয়নি, বরং স্থিতিশীল রয়েছে।
তবে সিটি স্ক্যান করে কি রিপোর্ট পাওয়া গেছে সে বিষয়ে কিছু জানা যায়নি।
এদিকে ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ড্যাব) মহাসচিব ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন অভিযোগ করে বলেন, খালেদা জিয়ার সিটি স্ক্যান করার সময় সেখানকার দায়িত্বরত চিকিৎসক ডা. নজরুল ইসলামকে সরিয়ে দিয়ে তার পছন্দমতো চিকিৎসক দিয়ে সিটি স্ক্যান করানো হয়েছে। তার চিকিৎসায় কঠোর গোপনীয়তা রক্ষা করা হচ্ছে। এমনকী তার কোনো আত্মীয়দের সঙ্গেও দেখা করতে দেওয়া হচ্ছে না। এতে তার মানসিক স্বাস্থ্যের অবনতি ঘটতে পারে।
জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় গত ৮ ফেব্রুয়ারি খালেদা জিয়াকে পাঁচ বছর সশ্রম কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ডাদেশ দেন ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫। সেই থেকে খালেদা জিয়া নাজিমুদ্দিন রোডের কেন্দ্রীয় কারাগারে ছিলেন। পরে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়লে উন্নত চিকিৎসার জন্য আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী ৬ অক্টোবর বিএসএমএমইউ’র ৬১১-১২ কেবিনে ভর্তি করা হয়। তিনি বর্তমানে সেখানেই চিকিৎসাধীন।
ভর্তির পর তার চিকিৎসায় ৫ সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়। ১০ অক্টোবর মেডিকেল বোর্ড খালেদা জিয়ার চিকিৎসা শুরু করেন। চিকিৎসা শুরুর পর থেকে তার চিকিৎসায় গঠিত মেডিকেল বোর্ড এবং হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ কঠোর গোপনীয়তা অবলম্বন করছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৫৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৪, ২০১৮
এমএএম/এএ