বুধবার (০৫ ডিসেম্বর) ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভানেত্রীর রাজনৈতিক কার্যালয়ে নির্বাচনী প্রচার উপ কমিটির নিয়মিত সভা শেষে সাংবাদ সম্মেলনে তিনি এ মন্তব্য করেন।
তিনি বলেন, বিএনপির নয়াপল্টন কার্যালয়ে রিজভী আহমেদ এবং তার অবর্তমানে বিএনপির অন্যান্য নেতারা সকাল-বিকেল সংবাদ সম্মেলনে নির্লজ্জ মিথ্যাচার করে সেটিকে রাজনৈতিক কার্যালয়ের পরিবর্তে মিথ্যাচার কেন্দ্রে রূপান্তরিত করেছে।
বিএনপির আটশ নমিনেশন দেওয়ার মূল উদ্দেশ্য মনোনয়ন বাণিজ্য মন্তব্য করে সাবেক বন ও পরিবেশ মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেন, বাংলাদেশের ইতিহাসে কোনো রাজনৈতিক দল আটশ জনকে নমিনেশন দেয়নি এবং বাছাইয়ের পর পাঁচশ ছাপ্পান্ন জনের মনোনয়ন বৈধ হয়েছে এমন ঘটনা ঘটেনি। নমিনেশন দেওয়ার ক্ষেত্রে তারা (বিএনপি) যার কাছ থেকে চাঁদা পেয়েছে তাকেই নমিনেশন দিয়েছে এবং কিছু কিছু নির্বাচনী এলাকায় পাঁচজনকেও নমিনেশন দিয়েছে। নমিনেশন দেওয়ার ক্ষেত্রে তারা (বিএনপি) দেখেনি যে তিনি ঋণখেলাপি কি না, তিনি অগ্নি সন্ত্রাসের দায়ে দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি কি না এগুলো কোন কিছু না দেখেই নির্বিচারে নমিনেশন দিয়েছে।
অন্যদিকে আওয়ামী লীগ শুরু থেকেই মনোনয়ন দেওয়ার ক্ষেত্রে সতর্ক ছিলো এবং মনোনয়ন প্রত্যাশীদের দরখাস্ত আহ্বানের সময় কেউ মামলার আসামি কি না, কেউ ঋণখেলাপি কি না এগুলো উল্লেখ করতে বলা হয়েছিল। এরপর মনোনয়নের খসড়া তালিকা হওয়ার পর প্রত্যেক প্রার্থীর সিআইবি রিপোর্ট সংগ্রহ করে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে। এরপরও আওয়ামী লীগের অনেকের মনোনয়ন বাতিল হয়েছে। এমনকি জাতীয় পার্টির মহাসচিবের মনোনয়নও বাতিল হয়েছে।
রিজভী আহমেদকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, মিথ্যাচার বন্ধ করে বরং বিএনপি অফিসকে নির্বাচন পরিচালনা কাজে ব্যবহার করুন। এতে আপনাদের দল উপকৃত হবে।
এসময় প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রীর রাজনৈতিক উপদেষ্টা এইচ টি ইমাম বলেন, বাংলাদেশের নির্বাচন কমিশন এবং নির্বাচন পদ্ধতির সংস্কার ও উন্নয়ন করেছে আওয়ামী লীগ, আর অন্য কোন দল নয়। আর এটি শুরু করেছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। সুতরাং আপনারা সাংবাদিকসহ সবাই নির্বাচন কমিশনকে শক্তিশালী করার জন্য সহায়তা করুন।
এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের উপ প্রচার সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন, তারেক সুজাত, চিত্রনায়ক রিয়াজ, ফেরদৌস, শাকিল খান, অভিনেত্রী শমী কায়সার, অরুনা বিশ্বাসসহ নির্বাচনী প্রচার উপ কমিটির নেতারা।
বাংলাদেশ সময়: ২০৫৭ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৫, ২০১৮
এসএইচ