বৃহস্পতিবার (৬ ডিসেম্বর) স্বেচ্ছাসেবক লীগের যৌথসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন। নির্বাচনের প্রচার কাজের প্রস্তুতি নিতে বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে এ যৌথসভার আয়োজন করা হয়।
ওবায়দুল কাদের বলেন, আওয়ামী লীগ পরাজিত হলে দেশে ২০০১ সালের মতো পরিস্থিতি ফিরে আসবে। আমরা যদি সেই বিভীষিকাতে ফিরে যেতে না চাই তাহলে আমাদের সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। দলের ও জোটের প্রার্থীদের পক্ষে কাজ করে তাদের জয়ী করতে হবে।
এর আগে ওবায়দুল কাদের আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ উপ-কমিটি আয়োজিত নির্বাচনি পোলিং এজেন্ট প্রশিক্ষণ কর্মশালায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন। যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাশ ডেমোক্র্যাটিক ইনস্টিটিউটের (এনডিআই) সহযোগিতায় এই প্রশিক্ষণ কর্মশালার আয়োজন করা হয়। বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।
স্বেচ্ছাসেবক লীগের যৌথসভায় ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, আমরা এবার যে মনোনয়ন দিয়েছি তাতে রাজনীতিরই বিজয় হয়েছে। আমরা যাদের মনোনয়ন দিয়েছি তাদের বেশিরভাগই রাজনীতিক। মাত্র ১৬ থেকে ১৭ জন ব্যবসায়ী মনোনয়ন পেয়েছেন। কিছু কিছু জায়গায় ক্ষোভ-বিক্ষোভ হতে পারে। কিন্তু দলের স্বার্থে, জোটের স্বার্থে ত্যাগ স্বীকার করতে হবে। বৃহত্তর স্বার্থে সবাইকে জোটের প্রার্থীদের মেনে নিতে হবে। কানাডার আদালত বিএনপিকে সন্ত্রাসী দল হিসেবে রায় দিয়েছে। আমরা কি চাই তাদের হাতে দেশ ফিরে যাক? তারা জয়ী হলে বাংলাদেশ আবার ফিরে যাবে অন্ধকারে, পশ্চাৎপদতার দিকে। আমরা পিছিয়ে পড়া সমাজে ফিরে যেতে চাই না। এই নির্বাচনে আমাদের জিততে হবে।
নির্বাচনে আওয়ামী লীগের বিজয়ের আশাবাদ ব্যক্ত করে কাদের বলেন, আমি শতভাগ আশাবাদী বিপুল ভোটে বেশিরভাগ আসনে আমরা জয় লাভ করবো। বিএনপি জয়ী হতে পারবে না, কারণ তারা আন্দোলনে বিজয়ী হতে পারেনি।
তবে এ সময় তিনি নেতাকর্মীদের আত্মতৃপ্তিতে না ভোগার আহ্বান জানিয়ে বলেন, আত্মতৃপ্তিতে ভুগবেন না, পরিস্থিতি এমন না। ড. কামাল, কাদের সিদ্দিকী, রব, মান্না, সুলতান মনসুর এই মুক্তিযোদ্ধারা আজ জঙ্গিবাদের পৃষ্ঠপোষক, সাম্প্রদায়িক, খুনী বিএনপির সঙ্গে হাত মিলিয়েছে। এখানে ড. কামাল, কাদের সিদ্দিকীর নিজস্ব কোনো ধারা নেই। সব ধারাই সাম্প্রদায়িক অপশক্তির সঙ্গে মিশে গেছে। ষড়যন্ত্রের হাতিয়ার আঘাত হানতে পারে। নাশকতা হতে পারে। আপনাদের সতর্ক থাকতে হবে। দেশে-বিদেশে তারা নানা পাঁয়তারা করছে। তারা কেন্দ্র পাহারা দেওয়ার কথা বলছে, আপনারা কেন্দ্র রক্ষা করবেন। আমাদের কেন্দ্র রক্ষা করতে হবে।
নির্বাচনে প্রার্থী মনোনয়নে স্বচ্ছতা বজায় রেখেছে জানিয়ে কাদের বলেন, আমরাদের প্রতিপক্ষ জাতীয় ঐক্যফন্ট, বিএনপি রমরমা মনোনয়ন বাণিজ্য করেছে। টাকা-পয়সা ছাড়া বিএনপিতে মনোনয়ন কল্পনাও করা যায় না। মনোনয়নপ্রত্যাশীরা এখন শীর্ষ নেতাদের দ্বারে দ্বারে ঘুরছে। মনোনয়ন বাণিজ্য আওয়ামী লীগকে স্পর্শ করতে পারেনি। আমরা স্বচ্ছভাবে মনোনয়ন দিতে পেরেছি। আমাদের দলের ও জোটের প্রার্থী চূড়ান্ত হয়ে গেছে। আজ-কালের মধ্যে আমরা চিঠি দিয়ে দেবো।
স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি মোল্লা মোহাম্মদ আবু কাওসারের সভাপতিত্বে এ যৌথ সভায় আরও বক্তব্য রাখেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহে আলম মুরাদ, স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক পংকজ দেবনাথ প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ১৫১৪ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৬, ২০১৮
এসকে/আরআর