তিনি বলেন, সত্যিকার অর্থে আমরা যদি বঙ্গবন্ধুকে সম্মান জানাতে চাই, তার অসমাপ্ত কাজগুলো সমাপ্ত করতে চাই, তাহলে আমাদের জীবন উৎসর্গ করার শপথ নিতে হবে।
সোমবার (১৮ মার্চ) বিকেলে সুপ্রিম কোর্ট মিলনায়তনে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৯৯তম জন্মদিন উপলক্ষে গণফোরাম আয়োজিত এক আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন ড. কামাল।
নেতাকর্মীদের কাছে প্রশ্ন রেখে ড. কামাল হোসেন বলেন, আমাদের দেশে অবাধ সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন কি হচ্ছে? আইনের শাসন আছে? মানুষের ভোটের অধিকার আছে? তার প্রশ্নের জবাবে নেতাকর্মীরা না.. না.. উচ্চারণ করেন। এ সময় ড. কামাল বলেন, আমি আনন্দ বোধ করতাম যদি সবাই হ্যাঁ হ্যাঁ উত্তর দিতেন। আজকে স্বাধীনতার ৪৮ বছর পর কেন আমাদের এসব শুনতে হচ্ছে।
ড. কামাল বলেন, আপনারা পাড়া-মহল্লায় দেখেন যারা বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের বাংলাদেশ গড়তে বাধার সৃষ্টি করছে, তাদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে। আমরা ধরে নেব তারা বঙ্গবন্ধুর আনুগত্য না করে উল্টো কাজটা করছে। যারা এদেশে গণতন্ত্র চলতে দিচ্ছে না। আমরা মনে করবো তারা বঙ্গবন্ধুকে অশ্রদ্ধা করছে। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন বাস্তবায়নে বাধার সৃষ্টি করছে। যারা বঙ্গবন্ধুর নাম নিয়ে মানুষের ওপর আক্রমণ করে, যারা তার কথা অমান্য করছে তাদের চিহ্নিত করে আমাদের সকলে মিলে তাদের একঘরা করা দরকার।
তিনি আরো বলেন, আমি ইতিবাচকভাবে ঐক্যের কথা বলেছি। আমরা ১৬ কোটি মানুষের ঐক্য চাই। আজকে যারা ঐক্য ভয় পায়, তারা বলবে দেশের মানুষ বিভক্ত। আমি বলব ১৬ কোটি মানুষের মাঝে বৃহত্তর একটা ঐক্য বিরাজ করছে।
গণফোরামের নির্বাহী সভাপতি সুব্রত চৌধুরী বলেন, বর্তমান সরকার বঙ্গবন্ধুর নীতির উল্টো কাজটা করছে। বঙ্গবন্ধুকে ১৫ আগস্ট ঘাতকরা হত্যা করেছে। আজকে যারা সুশীল, বঙ্গবন্ধুর নীতি আর্দশের কথা বলেন, তারা প্রতিদিন প্রতি মুহূর্তে বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করছেন।
আলোচনা সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন- গণফোরামের সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা মোহসীন মন্টু, প্রেসিডিয়াম সদস্য জগলুল হায়দার আফ্রিক, মোকাব্বির খান, গণফোরাম নেতা ইঞ্জিনিয়ার সিরাজুল হক, গণফোরাম ঢাকা মহানগর কমিটির সাধারণ সম্পাদক সাইদুর রহমান সাইদ প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৪৫ ঘণ্টা, মার্চ ১৮, ২০১৯
এমএইচ/এমজেএফ