রোববার (১৯মে) দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির কার্যালয়ে এ অভিযোগ করেন তিনি।
এ ঘটনায় শাহবাগ থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেছেন শ্রাবণী।
গত ১৩ মে ছাত্রলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণার পর মধুর ক্যান্টিনে সংবাদ সম্মেলন করতে গেলে পদবঞ্চিতদের ওপর হামলা হয়। এতে চোখে মারাত্মকভাবে আহত হন ছাত্রলীগ নেত্রী শ্রাবণী। হাসপাতালে চিকিৎসা শেষে তিনি মোতালেব প্লাজায় বাণী ইয়াসমিন হাসির বাসায় অবস্থান করছিলেন।
ঘটনার বর্ণনা দিয়ে শ্রাবণী জানান, বদরুন্নেসা সরকারি মহিলা কলেজের ছাত্রলীগ নেত্রী রিমা তাকে ফোন করে জানায়, উপমন্ত্রী নওফেল তার ছাত্রলীগের পদ না পাওয়া নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলতে চান। পাশাপাশি শ্রাবণীর ফোন নম্বর নিয়ে উপমন্ত্রী (০১৮১২৭৬১৭০৩) নওফেল পরিচয় দিয়ে ফোন করেন। বলেন, ‘পিএম এর সঙ্গে তোমার বিষয়ে আমার কথাবার্তা হয়েছে। ’ পরে রিমা বাসায় গেলে আবার ফোন করেন নওফেল পরিচয়দানকারী ওই ব্যক্তি। তখন নম্বরটি ভুয়া বললে উল্টো তাকে ভয়ভীতি দেখানো হয়। পরিস্থিতি বুঝতে পেরে তাকে আটকানোর চেষ্টা করলে তড়িঘড়ি করে রিমা বাসা ত্যাগ করেন।
প্রধনমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করে ছাত্রলীগ নেত্রী বলেন, এ ঘটনার পর আমি আবার রিমাকে ফোন করে বলি, উনি তো নওফেল ভাই ছিলেন না। উনি তো আমাকে চেনেন না। তখন রিমা বলে উনি নওফেল ভাই ছিলেন। আমাকে যদি বের করে নিয়ে যাওয়া হতো, পরে কি ঘটতো আল্লাহই ভালো জানে। রিমাকে এখনো গ্রেফতার করা হয়নি। তাকে দ্রুত গ্রেফতার করা হোক। এর পেছনে কে আছে তা বের করা দরকার। আমি আতংকিত। এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার হওয়া উচিত।
মধুর ক্যান্টিনে হামলা ও অপহরণচেষ্টার সঙ্গে কোনো যোগসূত্র আছে কিনা সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের উত্তরে শ্রাবণী বলেন, এ বিষয়ে আমি কিছু বলতে চাচ্ছি না। ছাত্রলীগকে বিতর্কিত করতে একটি চক্র আমাকে অপহরণের চেষ্টা করেছে। আমি বিচার চাই। রিমা নামে যে মেয়ে এসেছিল, সে বদরুন্নেছা কলেজ ছাত্রলীগের ভাইস প্রেসিডেন্ট। তাকে আমি চিনি। তাকে গ্রেফতার করলে সব তথ্য বেরিয়ে আসবে। তাকে দ্রুত গ্রেফতারের দাবি জানাচ্ছি।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে রিমা বাংলানিউজকে বলেন, নওফেল ভাইয়ের সঙ্গে আমার কথা হয়েছিল। আমি শ্রাবণীকে অপহরণ করতে চাইনি। সে নিজেই আমাকে দেখতে যেতে বলেছিল।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৩৮ ঘণ্টা, মে ১৯, ২০১৯
এসকেবি/এএ