বুধবার (১১ সেপ্টেম্বর) রাতে নগরের মির্জাজাঙ্গালে আস্তানা ঘেরাও করে তাকে আটক করা হয়। এসময় সঙ্গীয় আরো তিনজনকে আটক করা হয়।
তারা হলেন- নগর স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা বাপ্পা পাল, মন্টি দে এবং অন্যজনের নাম জানা যায়নি।
র্যাব-৯’র মিডিয়া উইং সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করে জানায়, আটকের সময় তার কাছ থেকে একটি বিদেশি রিভলবার, দুই রাউন্ড গুলি এবং বিপুল পরিমাণ ইয়াবা জব্দ করা হয়।
র্যাব সূত্র জানায়, সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড, চাঁদাবাজি, মারধরসহ অসংখ্য অভিযোগ ও মামলা রয়েছে পিযুষের বিরুদ্ধে। গত ৬ আগস্ট জিন্দাবাজারে পাঁচভাই রেস্টুরেন্টে তিন প্রবাসীকে মেরে রক্তাক্ত করে তার অনুসারীরা। এ ঘটনায় মামলা দায়ের করা হয়। তাতে আবারো সমালোচনার মুখে পড়ে কিছুদিন আত্মগোপনে ছিলেন পিযুষ।
এছাড়া তিনি মির্জাজাঙ্গাল এলাকায় একটি বাড়ি দখল করে আস্তানা গড়ে তোলেন। গোপন সংবাদে র্যাব সদস্যরা বুধবার রাতে আস্তানায় অভিযান চালিয়ে তাকে অস্ত্র ও ইয়াবাসহ আটক করে।
এ বিষয়ে কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সেলিম মিয়ার মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলেও তিনি কল রিসিভ করেননি।
অবশ্য রাত সাড়ে ১২টায় কোতোয়ালি মডেল থানার কর্তব্যরত ডিউটি অফিসার ফোন ধরে বলেন, পিযুষকে এখনো থানায় হস্তান্তর করা হয়নি।
এর আগেও ১১ মামলার হুলিয়া মাথায় নিয়ে রাজপথে প্রকাশ্যে বন্দুক উচিয়ে গাড়ি ভাঙচুর ও ব্যাংকে হামলা করে আতঙ্ক ছড়ান পিযুষ।
বাংলাদেশ সময়: ০১২১ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১২, ২০১৯
এনইউ/জেডএস